শনি গ্রহকে শাস্ত্রে সূর্যদেবের পুত্র হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। এই শনি গ্রহকে শাস্ত্রে যম বা মৃত্যুর দেবতা রূপেও কল্পনা করা হয়েছে। শনি একদিকে যেমন বাধা , মৃত্যু ও কষ্টের কারক তেমনই আরেক দিকে যোগী, সাধক ও সত্যের কারক গ্রহ। শনি গ্রহ সাড়ে সাতি চলাকালীন জাতক - জাতিকা প্রবল কষ্টের মধ্যে দিয়ে সত্যের কারক গ্রহ।
শনি গ্রহ ও যখন জন্ম রাশির দ্বাদশে, রাশিতে, ও রাশির দ্বিতীয় ঘরে গোচর কালীন অবস্থান করেন, তখন জাতক বা জাতিকা সাড়ে সাতি যোগ শুরু হয়। শনি প্রত্যেকটি ঘরে আড়াই বছর করে থাকেন, সর্বমোট সাড়ে সাত বছর অবস্থান করেন বলে একে শনির সাড়েসাতি বলা হয়। এই সময়ে জাতক বা জাতিকা কে চরম মানসিক কষ্টের শিকার হতে হয় এমনকি জাতক বা জাতিকা সাময়িকভাবে উন্মাদ হয়ে যেতে পারে এবং নানা প্রকার মানসিক ও শারীরিক কষ্ট বা আঘাত পেতে পারেন। গণেশ দেবের কৃপা থেকে বিচ্যূত হন না এঁরা! কী বলছে জ্যোতিষ মত?
সাড়েসাতি চলাকালীন আরও দেখা যায় যে অকারণে লোকের সাথে মনোমালিন্য বা ভুল বোঝাবুঝি হওয়া, কাজ আটকে যাওয়া বা না হওয়া, বিদ্যায় বাধা, কর্মে বাধা ,বিবাহে বাধা ,গুরুজনদের স্বাস্থ্যহানি বা মৃত্যুও হতে পারে। দাম্পত্য অশান্তি কখনো এমন পর্যায়ে যেতে পারে যে বিবাহবিচ্ছেদ ও অসম্ভব নয়। নানা প্রকার অশান্তিময় ফল শনির সাড়েসাতি তে পাওয়া যায়। তবে জাতকের জন্মকালীন ছকে শনির অবস্থান এর ওপর এই ফলের শুভাশুভ নির্ভর করে।
তন্ত্র মতে পুজো, জপ, স্তব ও হোমের মাধ্যমে সাধনা করলে গ্রহরাজ শনি জাতকের দুঃখ কষ্ট লাঘব করে।
ধাতু প্রতিকার
-সিসা ধারণ করলে শনির জাতকের অমঙ্গল দূর হয়।
পুজো প্রতিকার-
কাল অগুরুর ধূপ জ্বালিয়ে শনি মন্দিরে পরপর ৩১ টি শনিবার পুজো দিলে শনির দোষ কাটে।
-বৈদিক মত অনুসারে, সর্বোপরি সবকিছু করার পর শনি প্রণাম মন্ত্রে গ্রহরাজ শনি কে প্রণাম করলে শনিদেব খুশি হয়ে ভক্তকে অপার সুখ, অর্থ ও শান্তি প্রদান করেন।।
বিশেষজ্ঞ: মনোজিৎ দে সরকার
যোগাযোগ: +918777679776