আমাদের অনেকেই বসে থাকা বা বিশ্রাম নেওয়ার সময় কোনও কারণ ছাড়াই পা নাড়াতে থাকি। এটি একটি সাধারণ অভ্যাস হতে পারে, কিন্তু জ্যোতিষশাস্ত্রের দৃষ্টিকোণ থেকে, এই অভ্যাসটি আপনার জন্য নানাভাবে ক্ষতিকারক হতে পারে।
এটি কেবল আপনার শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের উপরই প্রভাব ফেলতে পারে না, বরং এর কিছু ধর্মীয় ও সামাজিক দিকও রয়েছে যা উপেক্ষা করা যায় না। আসুন জেনে নিই ভোপালের বাসিন্দা জ্যোতিষী আচার্য পণ্ডিত যোগেশ চৌরের কাছ থেকে বসার সময় পা নাচানোর নেতিবাচক প্রভাব সম্পর্কে।
১. চাঁদের উপর প্রভাব: জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, বসে থাকাকালীন পা নাড়ানোর ফলে কুণ্ডলীতে চন্দ্রের অবস্থানের উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। চাঁদ আমাদের মন এবং মানসিক শান্তির প্রতীক। যখন চন্দ্র দুর্বল থাকে, তখন জীবনে চাপ, উদ্বেগ এবং মানসিক অস্থিরতা দেখা দেয়। এর ফলে ঘরে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ থাকে না এবং অসুস্থতার সম্মুখীন হতে হয়।
২. মানসিক ও শারীরিক দুর্বলতা: যখন একজন ব্যক্তি বসে থাকাকালীন তার পা কাঁপে, তখন এটি তার মানসিক অবস্থার উপরও প্রভাব ফেলে। এই অভ্যাস মানসিক দুর্বলতা এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতার উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। ফলস্বরূপ, একজন ব্যক্তির আত্মবিশ্বাস কমে যেতে পারে এবং সে তার সিদ্ধান্তে দ্বিধাগ্রস্ত বোধ করতে শুরু করতে পারে।
৩. মা লক্ষ্মীর অসন্তুষ্টি: বসে থাকা অবস্থায় পা নাড়ানো সম্পদের দেবী মা লক্ষ্মীর দিক থেকে নেতিবাচক বলে বিবেচিত হয়। এই অভ্যাসের ফলে ঘরে অর্থের অভাব এবং আর্থিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। যদি কোনও ব্যক্তি ক্রমাগত এই অভ্যাসটি অনুসরণ করে, তবে এটি অর্থের প্রবাহকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে এবং ভাগ্যের পথেও বাধা সৃষ্টি করতে পারে।
৪. উপাসনায় অশুভ প্রভাব: যদি আপনি পুজো করার সময় বসে পা নাড়ান, তাহলে এই অভ্যাসটি পুজোর ফলাফলের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। পুজোর সময় মানসিক শান্তি এবং নিষ্ঠার প্রয়োজন, কিন্তু পা নাড়ালে এই একাগ্রতা ব্যাহত হয় এবং দেবতা ক্রোধান্বিত হতে পারেন। এর ফলে পুজোর কাঙ্ক্ষিত ফলাফল অর্জিত হয় না।
৫. খাওয়ার সময় পা নাড়ানো: কিছু মানুষের অভ্যাস আছে যে তারা খাবার খাওয়ার সময় চেয়ারে বসে পা নাড়ায়। এর ফলে অশুভ শক্তি ঘরের সুখ, শান্তি এবং সমৃদ্ধির উপরও প্রভাব ফেলে। বিশেষ করে, এই সময়ে পা নাড়ানো মানে খাদ্যের দেবতার অপমান, যার কারণে ঘরে অর্থের অভাব এবং সমস্যা দেখা দিতে পারে।