জ্যোতিষ শাস্ত্রে প্রত্যেকটা গ্রহেরই একটা নিজস্ব গুরুত্ব আছে। প্রতিটি গ্রহের অবস্থান যখনই পরিবর্তন হয়, তখনই প্রতিটা মানুষের জীবনে কিছু না কিছু প্রভাব পড়ে, সেই প্রভাব কখনো শুভ হতে পারে, কখনো অশুভ হতে পারে। জ্যোতিষশাস্ত্রে বেশ কিছু উপায়ের কথাও বলা হয়েছে, যেগুলোর মাধ্যমে গ্রহের এই অশুভ প্রভাব থেকে আমরা মুক্তি পেতে পারি। চলুন দেখে নেওয়া যাক আমাদের জীবনে কী কী প্রভাব পড়তে পারে যা দেখে আমরা বুঝবো এই মুহূর্তে প্রতিকার করা উচিত।
শনি যখন কোনও ব্যক্তির কুণ্ডলীতে অশুভ ফল দিতে শুরু করে, তখন সেই ব্যক্তিকে হঠাৎ শারীরিক ও আর্থিক সমস্যায় পড়তে হয়।
শনি দোষ আসার সাথে সাথে একজন ব্যক্তির জীবনে কাজের চাপ হঠাৎ বেড়ে যায়।
শনির অশুভ প্রভাবের কারণে ব্যক্তি আরও বেশি রেগে যেতে শুরু করে। সে খারাপ অভ্যাসেরও শিকার হয়।
শনির অশুভ প্রভাব শুরু হওয়ার সাথে সাথে একজন ব্যক্তি মিথ্যা বিষয়ে ফেঁসে যেতে পারেন। যার কারণে মান-সম্মান নষ্ট হয়।
শনির অশুভ প্রভাবের কারণে চাকরিতে বাধা আসে। চাকরি হারাতেও হতে পারে।
শনির অশুভ প্রভাবের কারণে কোনো কুকুর আক্রমণ করতে পারে। যার কারণে আপনি গুরুতর আহত হতে পারেন।
শনির ক্ষতিকর প্রভাব কমানোর উপায়
শনিদোষ কমাতে শনিবার শনিদেবকে সরিষার তেল অর্পণ করুন। একই সঙ্গে সরিষার তেলের প্রদীপ জ্বালান শনি দেবের সামনে।
শনি দোষের অশুভ প্রভাব কমাতে শনিবার লোহার জিনিসপত্র, কালো কাপড়, খোসা সমেত মাস কলাইয়ের ডাল, সরিষার তেল, পাদুকা ইত্যাদি দান করুন।
শনিবার মাছকে আটার গুলি তৈরী করে খাওয়ান। এতে শনি দোষের প্রভাব কমে যায়।
শনিবার সকালে অশ্ব্থ্থ গাছের মূলে জল নিবেদন করুন এবং সন্ধ্যায় তিল বা সরিষার তেলের প্রদীপ জ্বালান।
প্রতি শনিবার মন্দিরে নির্দিষ্ট পরিমাণে কালো তিল দান করুন।
( উপরোক্ত তথ্যে এটা কখনই দাবি করা হচ্ছে না যে এটা পূর্ণত সত্য এবং সঠিক৷ এব্যাপারে বিশদ জানতে অবশ্যই বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত )