জ্যোতিষশাস্ত্রে কিছু উপায়ের কথা বলা রয়েছে, যেগুলোর মাধ্যমে আমরা শনিদেবকে তুষ্ট করতে পারি, আসুন জেনে নিই সেই উপায়গুলি কী ৷
হিন্দু ধর্মে শনিদেবকে কর্মফল দাতা বলে উল্লেখ করা রয়েছে। শনিদেবের বক্রবৃষ্টি জীবনকে নরক বানিয়ে দিতে পারে। তাই সব সময় নিজের কাজের দিকে খেয়াল রাখবেন। সৎকর্ম আপনাকে শনিদেবের বক্র বৃষ্টির হাত থেকে বাঁচাবে। কখনো অন্যের পরিশ্রম চুরি করবার চেষ্টা করবেন না। অন্যের পরিশ্রমের মূল্য দেবেন সব সময়।
বাজারে শনি যন্ত্র কিনতে পাওয়া যায়। আপনি বাড়িতে শনি যন্ত্র নিয়ে এসে প্রতিষ্ঠা করতে পারেন। প্রত্যেকদিন শনি যন্ত্রের সামনে সরিষার তেলের প্রদীপ জ্বালিয়ে পুজো করবেন। বিশ্বাস করা হয় যে শনি যন্ত্র কে যদি শ্রদ্ধার সাথে পূজা করা হয়, তাহলে শনির খারাপ প্রভাব তার উপর কখনোই পড়ে না।
প্রত্যেক শনিবার কুকুরকে রুটি খাওয়ান। সেই সঙ্গে গরিব এবং অভাবী মানুষকে কালো জিনিস যেমন কালো কম্বল দান করুন।
শনিবার সূর্যাস্তের পর সন্ধ্যায় অশ্ব্থ্থ গাছের নিচে সরিষার তেলের প্রদীপ জ্বালান। এর মাধ্যমে শনিদেব ভক্তদের উপর আশীর্বাদ বর্ষণ করেন।
বাড়িতে শমী গাছ এনে প্রতিষ্ঠা করুন। প্রতি শনিবার সন্ধ্যেবেলায় শমী গাছের তলায় সরষের তেলের প্রদীপ জ্বালান। মনে করা হয় এতে শনিদের তার ওপর খুবই প্রসন্ন হন।
প্রত্যেক শনিবার হনুমান মন্দিরে যান। হনুমানজিকে সিঁদুর অর্পণ করুন। হনুমানজির পুজো করুন। হনুমান চল্লিশা পাঠ করুন এবং হনুমানজির সামনে অবশ্যই প্রদীপ জ্বালিয়ে নিজের প্রার্থনা জানান তাকে। মনে করা হয় যে শনির মহাদশা চলাকালীন যে ব্যক্তি হনুমান জির পুজো করে তার উপর শনির বক্র দৃষ্টি কখনোই পড়ে না।
পরিবারের যদি কোন বয়স্ক ব্যক্তি থাকে, তাহলে অবশ্যই তার সেবা যত্ন করুন। তাদের সাথে কখনো খারাপ ব্যবহার করবেন না। বয়স্ক ব্যক্তির সেবা যত্নে শনিদেব খুব প্রসন্ন হন এবং তার উপর কৃপাবর্ষণ করেন।
(উপরোক্ত তথ্য ধর্মীয় আস্থা ও লৌকিক মান্যতার উপর আধারিত)