হিন্দু ক্যালেন্ডার অনুসারে শনি জয়ন্তী প্রতি বছর জ্যৈষ্ঠ মাসের অমাবস্যা তিথিতে পালন করা হয়। মনে করা হয়, জ্যৈষ্ঠ মাসের অমাবস্যা তিথিতে শনিদেবের জন্ম হয়েছিল।
নবগ্রহের মধ্যে শনি গ্রহ একটি বিশেষ স্থান অধিকার করে আছে। শনিদেবের পিতা হলেন সূর্য দেব এবং মা হলেন ছায়া দেবী। সূর্য পুত্র বলেই শনি দেবের অপর নাম সৌরী।
পৌরাণিক মান্যতা অনুসারে শনি জয়ন্তীতে শনিদেবের বিশেষ পূজা-অর্চনা করে শনিজনিত কষ্টের থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব এবং শনিদেবকে প্রসন্ন করা সম্ভব।
এবছর জ্যৈষ্ঠ মাসের অমাবস্যা তিথি পড়েছে রবিবার ২৯ মে দুপুর ২টো ৫৪ মিনিট থেকে ৩০ মে সোমবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত।
জ্যোতিষ গণনা অনুযায়ী, প্রায় ৩০ বছর পর এই শনিজয়ন্তী, সোমবতি অমাবস্যা এবং বট সাবিত্রী ব্রত এক সঙ্গে এক দিনে পড়েছে ৷ এমন দুর্লভ সংযোগে যদি শনিদেবের পূজা অর্চনা করা যায়, তাহলে অবশ্যই শনির সাড়ে সাতি ঢাইয়া থেকে মুক্তি লাভ করা সম্ভব ৷
শনি জয়ন্তীতে শনিদেবের পূজা করার পর মন্দিরে কালো তিল দান করা উচিত ৷ কালো তিল দানের ফলে শনির সাড়েসাতি ঢাইয়া থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
এছাড়া শনিজনিত জিনিস, যেমন কালো বস্ত্র, জুতো চপ্পল এগুলো দান করা যেতে পারে। এই দিন কালো উড়দ অর্থাৎ খোসা সমেত বিউলির ডাল দান করার নিয়ম আছে।
এছাড়াও সরষের তেল বা তিলের তেলও মন্দিরে দান করা যায় ৷