জ্যোতিষীদের মতে, শনিবার প্রতিকার করলে শনি দোষ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। শনিদেবকে ন্যায়ের দেবতা মনে করা হয়। কথিত আছে শনিদেব প্রত্যেক মানুষকে তার কর্ম অনুসারে ফল দেন। কুণ্ডলীতে শনির অশুভ অবস্থান ব্যক্তির জীবনকে অসুবিধায় পূর্ণ করে। জেনে নিন শনিবার শনিদেবকে খুশি করার উপায়-
১) কথিত আছে, অশ্বত্থ গাছের পুজো করলে শনিদেব প্রসন্ন হন। এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে শনিদেবকে খুশি করতে তেলে লোহার পেরেক অশ্বত্থ গাছের সামনে নিবেদন করা উচিত।
২) কথিত আছে, রবিবার ছাড়া টানা ৪৩ দিন শনিদেবের মূর্তির উপর তেল নিবেদন করলে তাঁর আশীর্বাদ পাওয়া যায়।
৩) শনিবার সুন্দরকাণ্ড পাঠ করতে হবে। কথিত আছে যে সুন্দরকাণ্ড পাঠ করলে হনুমানজি প্রসন্ন হন এবং শনি দোষ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
৪) শনিদেবের আশীর্বাদ পেতে শনিবার হনুমান চালিশা পাঠ করতে হবে। এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে হনুমান চালিশা পাঠ করলে মঙ্গল ও শনি উভয় গ্রহই শুভ ফল দেয়।
৫) শনিবার অশ্বত্থ গাছের চারপাশে সাতবার কাঁচা সুতো বেঁধে পরিক্রমা করুন। এ সময় শনি মন্ত্র জপ করলে শনিদেব প্রসন্ন হন।
6) শনিদেবকে খুশি করতে শনিবার উপবাস করুন এবং দান করুন। কথিত আছে যে কালো গরুকে খোসা, শুদ্ধ বিউলির ডাল বা তিল খাওয়ালে শনিদেব শান্ত হন।
৭) মনে করা হয় যে সূর্যাস্তের সময় অশ্বত্থ গাছের নিচে তেলের প্রদীপ জ্বালালে শনিদেবের কৃপা বজায় থাকে।
৮) অশ্বত্থ গাছে জল নিবেদন করার পরে কেউ এটি প্রদক্ষিণ করলে শনিদেবের আশীর্বাদ পান।
৯) কথিত আছে, শনিবার একটি লোহার পাত্রে সর্ষের তেল ভরে তাতে আপনার মুখ দেখুন এবং পরে তা পাত্র-সহ গরিব মানুষকে দান করুন। কথিত আছে এটি করলে ভগবান শনি প্রসন্ন হন।
(বিশেষ দ্রষ্টব্য: এই প্রতিবেদনে যে সব কথা বলা হয়েছে, তা পুরোপুরি সঠিক হবে, এমন দাবি করছে না হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা। পুরোটাই জ্যোতিষীদের বক্তব্য তুলে ধরা হয়েছে।)