পুরাণ মতে জৈষ্ঠ্য অমাবস্যার দিনে শনি জন্মগ্রহণ করেন। তাই এই দিনটি শনি জয়ন্তী হিসেবে পালিত হয়। চলতি বছর ১০ জুন শনি জয়ন্তী। এদিন শনি পুজোর বিশেষ ফল লাভ করা যায়। আবার শনি দোষ থেকে মুক্তি এবং শনি শান্তির জন্য এই দিনটিকে শুভ মনে করা হয়। এদিন শনির পুজো করলে জাতকদের ওপর শনির অশুভ দৃষ্টি পড়ে না। এমনকি শনি দোষ থেকে মুক্তি লাভ সম্ভব হয়। শনিকে কর্মফল দাতাও বলা হয়। ব্যক্তিকে তাঁদের কর্ম অনুযায়ী ফল দেন তিনি। শনি জয়ন্তীর দিনে তাঁর পুজো করলে শনির আড়াইয়ের প্রকোপ, সাড়েসাতির মতো অশুভ প্রভাব থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
শনি পুজো করুন
শনি দোষ থেকে মুক্তি লাভের জন্য শনি জয়ন্তীর দিনে সকালে উঠে স্নান করে নিয়ম মেনে শনির পুজো করুন। শনিকে সরষের তেল অর্পণ করা উচিত।
শনি চালিসা পাঠ করুন
এদিন শনি চালিসা পাঠ করা উচিত। এই উপায় করলে জাতকের ওপরে শনির কুপ্রভাব পড়ে না। আবার শনির আশীর্বাদ লাভ করা যায়।
শিব ও বজরংবলীর পুজো করুন
শনি জয়ন্তীর দিনে শিব ও বজরংবলীর পুজো করা উচিত। প্রচলিত আছে যে শিব ও বজরংবলীর ভক্তদের ওপর শনি কখনও অশুভ দৃষ্টি দেন না। এমন জাতককে শনি কখনও বিরক্ত করেন না। এমনকি আশীর্বাদ বর্ষণ করে থাকেন।
ছায়া দান করুন
শনির প্রকোপ থেকে রক্ষা পেতে সবার আগে একটি বাটিতে সরষের তেল নিন, তাতে নিজের মুখ দেখুন। তার পর সেই বাটিকে শনি মন্দির বা কোনও অসহায় ব্যক্তিকে দান করে দিন। এর ফলে শুভ ফল লাভ করা যায়।
যা দান করবেন
শনি জয়ন্তীর দিনে দান করলে শুভ ফল লাভ করা যায়। তাই নিজের ক্ষমতানুযায়ী অবশ্যই দান করা উচিত। এদিন তেল, তিল, লোহা, কালো বস্ত্র দান করা উচিত।
এই মন্ত্র জপ করুন
শনি জয়ন্তীর দিনে এই মন্ত্রটি জপ করা উচিত—
ওম নীলাঞ্জন সমাভাসং রবি পুত্রং যমাগ্রজম। ছায়ামার্তণ্ড সংভূতং তং নমামি শনৈশ্চরম।
এর ফলে শনির আশীর্বাদ লাভ করা যায়।