এমন কিছু জিনিস আছে, যা অর্পণ করলে ভোলানাথকে শীঘ্র প্রসন্ন করা যায়। আবার সেই সমস্ত বস্তু অর্পণ করলে ব্যক্তিও সুফল লাভ করতে পারেন। শ্রাবণ তাঁর প্রিয় মাস হওয়ায় স্বভাবতই সেই সমস্ত বস্তু অর্পণ করলে শিবের আশীর্বাদ লাভ সহজ হয়ে যায়।
১) শ্রাবণ মাসে ওম নমঃ শিবায় মন্ত্রের জপ করে শিবকে জলাভিষেক করুন। প্রচলিত ধারণা অনুযায়ী, সৃষ্টির হিতের জন্য শিব যখন বিষপান করেন, তখন তাঁর মস্তক অত্যন্ত গরম হয়ে গিয়েছিল। তখন ইন্দ্রদেব বর্ষা করালে, শিব শান্তি পেয়েছিলেন। তাই শিবকে জল অর্পণ করা হয়। সে ভাবেই কোনও ব্যক্তি যখন শিবকে জল অর্পণ করেন, তখন তাঁর মনও শান্ত হয়ে যায়।
২) শিবলিঙ্গে জাফরান মিশ্রিত জল অর্পণ করলে সৌভাগ্য প্রাপ্তি ঘটে। শিবলিঙ্গে এই জল অর্পণ করার সময়— ওম তৎপুরুষায় বিদ্মহে মহাদেবায় ধীমহি, তন্নো রুদ্রঃ প্রচোদয়াৎ মন্ত্রের ১০৮ বার জপ করা উচিত।
৩) শিবলিঙ্গে চিনি অর্পণ করলে সুখ-সমৃদ্ধি লাভ হয়। পাশাপাশি আর্থিক পরিস্থিতি ঠিক হয় ও দারিদ্রতা দূর হয়।
৪) আতর অর্পণ করা উচিত। এতে ব্যক্তির বিচার পবিত্র হয়। এর ফলে ব্যক্তি ভুল পথে সঞ্চালিত হয় না।
৫) দুধ শিবের প্রিয়। তাই দুগ্ধাভিষেক করলে ব্যক্তি সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হন।
৬) আবার দই দিয়ে অভিষেক করলে স্বভাবে গাম্ভীর্য আসে। জীবনের কষ্ট দূর হয়। বেলপাতায় চন্দন লাগিয়ে অর্পণ করলেও তিনিও শীঘ্র প্রসন্ন হন।
৭) শিবকে সাদা চন্দন লাগালে, আকর্ষক ব্যক্তিত্ব লাভ করা যায়। পাশাপাশি সমাজে মান-সম্মান, যশ ও কীর্তি বৃদ্ধি হয়।
৮) মধু শিবের অন্যতম প্রিয় বস্তু। মধু অর্পণ করলে, ভাষায় মিষ্টতা আসে।
৯) সকলেরই জানা, ভাঙ শিবের অত্যন্ত প্রিয়। শিবকে ভাঙ অর্পণ করলে ব্যক্তির ভিতরের সমস্ত খারাপ গুণ নষ্ট হয়।
১০) শিবকে ঘি অর্পণ করলে শক্তিবৃদ্ধি ঘটে। মধু ও ঘি দিয়ে অভিষেক করলে ধন বৃদ্ধি হয়।