ফলের রাজা আমের নাম শুনলেই আট থেকে আশি সকলের জিভে জল আসে। আমের শেক, পাল্প বা গোটা কেটে সকলেই খেতে পছন্দ করেন। তবে আম খাওয়ার আগে বিশেষ কিছু বিষয় মাথায় রাখা উচিত। আমে নানান পুষ্টিকর উপাদান থাকে। তবে অত্যধিক পরিমাণে আম খেলে স্বাস্থ্যে বিপরীত প্রভাব পড়তে পারে। অতিরিক্ত আম খেলে কী কী সমস্যা দেখা দিতে পারে জেনে নিন—
১. অত্যধিক পরিমাণে শর্করা থাকে এতে- নিজের টক ও মিষ্টি স্বাদের জন্য আম সকলের প্রিয়। তবে পাকা আমে শর্করার পরিমাণ অনেক বেশি থাকে, যা রক্তে শুগার লেভেল বাড়িয়ে দিতে পারে। তাই মধুমেহর রোগীদের আম খাওয়া এড়িয়ে যাওয়া উচিত। আবার ওজন কম করার চেষ্টায় থাকলে এই ফলটি না-খাওয়াই ভালো।
২. ডায়রিয়া হতে পারে- অধিক পরিমাণে আম খেলে অন্ত্র জ্বালা করতে পারে। এতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে। অত্যধিক পরিমাণে ফাইবার সমৃদ্ধ ফল আবার ডায়রিয়ার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। তাই আমের স্বাদে মন ভুলিয়ে একের পর এক আম খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। তবে এক বা দুই ফালি আম খাওয়া যেতেই পারে।
৩. ওজন বৃদ্ধির কারণ হতে পারে- আমে শর্করা ও ক্যালরি দুই বেশি থাকে। তাই যাঁরা ওজন কম করার চেষ্টা করেছ্ন, তাঁরা আম খেলে ওজন কমার পরিবর্তে বেড়ে যেতে পারে। অধিক পরিমাণে আম খেলে কোমর বেড়ে যেতে পারে।
৪. অ্যালার্জির সমস্যা- এতে ইউরুশিওল কেমিক্যাল থাকে। তাই যাঁদের এই রসায়নের প্রতি সংবেদনশীল, তাঁরা যদি আম খান তাঁদের মধ্যে ডার্মাটাইটিসের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এর ফলে ত্বকে ফোলাভাব দেখা যেতে পারে। ত্বকে চুলকানিও হতে পারে। এর ফলে সর্দি লাগা আবার পেটে ব্যথার সমস্যাও দেখা দিতে পারে।
৫. এনাফিলেক্টিক শক- সমীক্ষা অনুযায়ী আম ব্যক্তির মধ্যে এলাফিলেক্টিক শকের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। এটি এক ধরণের অ্যালার্জি। সময় থাকতে এর চিকিৎসা না-করালে বমি হতে পারে এমনকি ব্যক্তি অজ্ঞান পর্যন্ত হয়ে যেতে পারে।
৬. পেটের সমস্যা- ভার্জিনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের হেল্থ সিস্টেম সমীক্ষা অনুযায়ী গ্লুকোজের তুলনায় আমে ফ্রুক্টোজের পরিমাণ বেশি থাকে। যার শরীরে ভারসাম্যহীনতা সৃষ্টি করতে পারে। এর ফলে ফ্রুক্টোজের শোষণে সমস্যা দেখা দেয়। এই পরিস্থিতিতে পেট ফুলে যায় এবং হজমের সমস্যা হয়। বদহজমের সমস্যা থাকলে অধিক পরিমাণে আম খাওয়া বন্ধ করুন।