স্কন্দ ষষ্ঠি মূলত মাতৃত্ব এবং বংশ বৃদ্ধির জন্য করা হয়ে থাকে। মা ষষ্ঠী হলেন হিন্দু মতে সন্তান-সন্ততি হওয়ার দেবী। তিনি গর্ভবতী হওয়ার আশীর্বাদ দিলে তবেই মেয়ের কোল পূর্ণ হয় বলে মনে করা হয়। তাই দাম্পত্য জীবনের মঙ্গল কামনা তে এই ষষ্ঠী পালন করা হয়।
দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশে একসময় রীতি ছিল, যতদিন কন্যার কোন সন্তান না হচ্ছে ততদিন কন্যার বাপের বাড়ি থেকে কেউ কন্যার শ্বশুরবাড়িতে পা দেবেন না এবং কন্যার শ্বশুর বাড়িতে জল ও অন্ন গ্রহণ করবেন না। জামাইষষ্ঠী কবে পড়ছে? জামাই আদরের বিশেষ ঐতিহ্যবাহী রীতি, নিয়ম একনজরে
আগেকার দিনে অল্প বয়সে মেয়েদের বিয়ে হওয়াতে তারা অল্প বয়সে গর্ভবতী হত এবং অপুষ্টির কারণে সন্তান ধারণে তাদের বাধা আসত এবং অনেক সময় সন্তানের মৃত্যুও ঘটত। ফলে সন্তান লাভ না হওয়া পর্যন্ত মেয়ের মুখ বাবা-মা দীর্ঘকাল যাবত দেখতে পেতেন না। তাই এই প্রথার প্রচলন করা হয়।
জৈষ্ঠ্য মাসের শুক্লপক্ষে এই ষষ্ঠী পূজা পালন করা হয়। নতুন বস্ত্র ফল-ফলাদি পান সুপারি দিয়ে এই পুজোর আয়োজন করা হয়।
এই বিশেষ ষষ্ঠীকে জামাইষষ্ঠী ও অরণ্য ষষ্ঠীও বলা হয়ে থাকে। বর্তমান দিনে এই দিনটি জামাইষষ্ঠী হিসাবে বাঙালি সমাজে বিশেষ ভাবে পালিত হয়।