জৈষ্ঠ্য মাসের অমাবস্যা তিথি অর্থাৎ ১০ জুন, একই সঙ্গে পড়ছে শনি জয়ন্তী ও বছরের প্রথম সূর্যগ্রহণ। পুরাণ মতে জৈষ্ঠ্য মাসের অমাবস্যা তিথিতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন কর্মফলদাতা শনি। এদিনই আবার ঘটবে আংশিক সূর্যগ্রহণ। সূর্যের ৯০ শতাংশ ঢাকা পড়বে এদিন। ভারতের কিছু অংশ যেমন- উত্তর-পূর্ব ভারত ও জম্মু-কাশ্মীরের কয়েকটি স্থান থেকে সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে। তাই গ্রহণের সূতক কাল মান্য হবে না। বৃষ রাশি ও মৃগশিরা নক্ষত্রে এই গ্রহণ লাগতে চলেছে। জ্যোতিষীদের মতে, ১৪৮ বছর পর শনি জয়ন্তী ও সূর্যগ্রহণ একই দিনে সংগঠিত হবে।
এই গ্রহণের কেমন প্রভাব পড়বে জানুন এখানে—
স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর- গ্রহণ কখনোই স্বাস্থ্যের পক্ষে ভালো নয় সূর্যগ্রহণে অনেকেরই চোখের সমস্যা দেখা দেয়। এই সময় গৃহকর্তার শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। এছাড়া সরকারি কাজকর্ম ও ক্ষেত্রের অধিপতি সূর্য। তাই শনি জয়ন্তী ও সূর্য গ্রহণ একসঙ্গে থাকায় সরকারি কাজকর্মের প্রতি অনাস্থা দেখা দেবে। নানান বিষয় সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
কী করবেন- সূর্যগ্রহণ সব স্থান থেকে দেখা না-গেলেও এর প্রভাব সবার উপরেই পড়তে পারে। তাই গ্রহণের ক্ষতিকর প্রভাব এড়াতে মন্ত্রোচ্চারণের পরামর্শ দেওয়া হয়। এ সময় দান করলে সুফল পাওয়া যায়। গ্রহণ শুরু হওয়ার আগে খাবার ও পানীয়ে তুলসী পাতা রেখে দেওয়া উচিত। গ্রহণ শেষ হলে বাড়িতে গঙ্গা জল ছিটিয়ে নেবেন।
শনি জয়ন্তীতে এর আগে ১৮৭৩ সালের ২৬ মে শনি জয়ন্তীতে সূর্যগ্রহণ হয়েছিল। তার ১৪৮ বছর পর পুনরায় শনি জয়ন্তীর দিনে ঘটতে চলেছে সূর্যগ্রহণ।
পুরাণ অনুযায়ী শনি আসলে সূর্যপুত্র। তবে বাবা-ছেলের মধ্যে তিক্ত সম্পর্ক ছিল। অন্য দিকে বর্তমানে শনির সাড়েসাতি চলছে ধনু, মকর এবং কুম্ভ রাশিতে। আবার বক্রিদশা বিচরণ করছেন শনি। আবার শনির আড়াইয়ের প্রভাব রয়েছে মিথুন ও তুলা রাশির ওপরে। এই পরিস্থিতিতে গ্রহণের সময় শনি চালিসা পাঠ করা উচিত। আবার গ্রহণের পর দরিদ্রদের খাবার ও বস্ত্র দান করলে শনির অশুভ প্রভাব কম করা যেতে পারে।
উল্লেখ্য সূর্যগ্রহণ বৃষ, তুলা ও বৃশ্চিক রাশির জাতকদের জন্য এই সূর্যগ্রহণ অশুভ। গ্রহণের সময় এই তিন রাশির জাতকদের সাবধান থাকতে হবে। গ্রহণের সময় গাড়ি চালাবেন না। এমনকি কোনও কাজের জন্য ঝুঁকিও নেবেন না।গর্ভবতী মহিলাদের গ্রহণে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়। গ্রহণের অশুভ প্রভাব থেকে মুক্তি পেতে দরিদ্র অসহায় ব্যক্তিদের খাদ্য, বস্ত্র ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী দান করুন।