এবার সোমবতী অমাবস্যা এবং শনিজয়ন্তী একই দিনে পড়েছে। অর্থাৎ ৩০ মে বিকেল ৫টা পর্যন্ত সোমবতী অমাবস্যার তিথি থাকবে। এই দিন সবার্থসিদ্ধি এবং সুকর্মা যোগ থাকছে।
সোমবতী অমাবস্যার দিন ব্রাহ্ম মুহূর্তে উঠে গঙ্গা স্নানের বিশেষ মাহাত্ম্য আছে ৷ তবে গঙ্গাজল না থাকলে স্নানের জলের মধ্যে গঙ্গাজল মিশিয়ে স্নান করা যেতে পারে ৷ পিতৃ পুরুষের জন্য তর্পণ শ্রাদ্ধ এবং তিলজল দেওয়ার বিধান রয়েছে এই দিন।
এই দিন যদি পিঁপড়েদের চিনির সঙ্গে আটা মিশিয়ে খেতে দেওয়া হয়, তাহলে পরিবারের সুখ শান্তি বৃদ্ধি পায়।
মনস্কামনা পূর্তির জন্য আটারগুলি বানিয়ে এদিন মাছকে খাওয়ানো উচিত ৷
সোমবতী অমাবস্যার দিন বাড়ির ঈশান কোণে অবশ্যই ঘিয়ের প্রদীপ জ্বালানো উচিত ৷
চাকরিজনিত সমস্যা অথবা যে কোনও মনস্কামনা পূর্তির জন্য একটি জটাওয়ালা নারকেল নিয়ে, তার গায়ে লাল সুতো বেঁধে সেটিকে প্রবাহমান জলে ভাসিয়ে দিতে হবে ৷
সোমবতী অমাবস্যার দিন গরুকে ৫ রকমের ফল খাওয়ালে বিশেষ শুভ ফলের প্রাপ্তি হয়।
সাড়েসাতি এবং ঢাইয়া থেকে মুক্তির জন্য সোমবতী অমাবস্যার দিন ভগবান শিবের বিশেষ পূজা অর্চনা করা উচিত এবং অখন্ড চাল ও কালো তিল শিবলিঙ্গে অর্পণ করা উচিত।
এই দিন বট এবং অশ্বত্থ গাছের গোঁড়ায় মিষ্টি জলের সঙ্গে কালো তিল ও দুধ মিশিয়ে অর্পণ করলে পিতৃদোষ থেকে মুক্তি লাভ সম্ভব।