রাধা অষ্টমী কৃষ্ণ জন্মাষ্টমীর ঠিক ১৫ দিন পরে আসে। অর্থাৎ ভাদ্র মাসের শুক্লপক্ষের অষ্টমী রাধাষ্টমী হিসেবে পালিত হয়। ব্রজবাসীরা এই দিনটিকে রাধারানির জন্মবার্ষিকী হিসেবে পালন করে। এবার রাধাষ্টমী ৪ সেপ্টেম্বর অর্থাত্ আজ। রাধাষ্টমীর পৌরাণিক তাৎপর্য অত্যন্ত বিশেষ বলে মনে করা হয়।
কথিত আছে রাধা অষ্টমীতে উপবাস করলে দেবী লক্ষ্মী প্রসন্ন হন এবং ঘরকে ধন-সম্পদে পূর্ণ করেন। কিছু কিছু জায়গায় রাধাষ্টমীর দিন রাধার সাথে দেবী লক্ষ্মীরও পূজা করা হয়। এটা বিশ্বাস করা হয় যে রাধাষ্টমী থেকে পরবর্তী ১৬ দিন, কিছু বিশেষ কাজ এবং জপ, তপস্যা করলে বাড়িতে সমৃদ্ধি আসে এবং দেবী লক্ষ্মীর অধিবাস হয়।
রাধাষ্টমী থেকে পরবর্তী ১৬ দিন নিয়মিতভাবে দেবী রাধার স্তোত্র পাঠ করুন, যদি রাধা স্তোত্র পাঠ করতে না পারেন তবে রাধা সহস্রনাম স্তোত্র পাঠ করুন। এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে এই পাঠ করলে কৃষ্ণের পাশাপাশি রাধারূপী মা লক্ষ্মীও প্রসন্ন হন।
সুরাইয়া উৎসব
রাধাষ্টমী থেকে সুরাইয়া উৎসবের সূচনা হয় যা ১৬ দিন ধরে চলে। এই উৎসব প্রাণে সম্প্রীতি আনার উৎসব। এতে ১৬ দিন ধরে দেবী লক্ষ্মীর স্তোত্র পাঠ করতে হবে। এর পাশাপাশি, এই ১৬ দিনের মাঝে শুক্রবার গুলিতে, দেবী লক্ষ্মীকে কেশর দেওয়া ক্ষীর নিবেদন করুন। এতে বাড়িতে সমৃদ্ধি আসে এবং পরিবারে সুখ বাড়ে।
রাধাষ্টমী থেকে পরবর্তী ১৬ দিন দেবী রাধা এবং ভগবান কৃষ্ণের যুগল মূর্তির পূজা করুন। রাধা দেবীকে শৃঙ্গার সামগ্রী নিবেদন করুন এবং যতদূর সম্ভব রাধা কৃষ্ণ নাম জপ করুন। সম্ভব হলে, এই ১৬ দিনের প্রতিদিন গরুকে সবুজ ঘাস খাওয়ান। এই কাজগুলো করলে ঘরে সমৃদ্ধি আসে, অর্থের কোনো অভাব হয় না।
কুবের পূজা
সুরাইয়া উৎসবকে যক্ষ ও যক্ষিণী সাধনার সময়ও বলা হয়। ভগবান কুবেরকে যক্ষরাজ বলা হয়। তিনি সম্পদের অধিপতি। সুরাইয়া উৎসবে নিয়মিত যক্ষ রাজ কুবেরের পূজা করুন। রাধাষ্টমীর দিন কুবের যন্ত্র ও শ্রী যন্ত্র প্রতিষ্ঠা করে নিয়মিত পূজা করুন।