২৬ মে বুদ্ধ পূর্ণিমা। প্রচলিত আছে যে, এদিন জন্মগ্রহণ করেছিলেন গৌতম বুদ্ধ। গৌতম বুদ্ধকে বিষ্ণুর নবম অবতার মনে করা হয়। এদিন দান করলে সুফল লাভ করা যায়।
বুদ্ধ পূর্ণিমার গুরুত্ব
বৈশাখ পূর্ণিমার দিনে সূর্যোদয়ের পর স্নান করে বিষ্ণুর পুজো করা হয়। এদিন ধর্মরাজের পুজো করারও রীতি প্রচলিত আছে। সত্যবিনায়ক ব্রত করলে ধর্মরাজ প্রসন্ন হন। ধর্মরাজ যম মৃত্যুর দেবতা। তাই যমকে প্রসন্ন করলে অকাল মৃত্যুর ভয় থেকে মুক্তি লাভ করা যায়। পূর্ণিমার দিনে তিল ও চিনির দান শুভ মনে করা হয়।
এর ফলে অজান্তে হওয়া পাপ থেকে মুক্তি লাভ করা যায়।
বুদ্ধ পূর্ণিমার সময়
২৫ মে মঙ্গলবার রাত ৮টা ৩০ মিনিটে বুদ্ধ পূর্ণিমা শুরু হবে। ২৬ মে (বুধবার) সন্ধে ৪টা ৪৩ মিনিটে এটি শেষ হবে।
বুদ্ধ পূর্ণিমার দিনে তৈরি হচ্ছে এই শুভ যোগ
বুদ্ধ পূর্ণিমার দিনে রাত ১০টা ৫২ মিনিট পর্যন্ত শিব যোগ থাকবে। এর পর সিদ্ধযোগ শুরু হবে। জ্যোতিষ শাস্ত্র অনুযায়ী এই সর্বার্থ সিদ্ধি যোগে, যে কোনও শুভ কাজ করা যায়। কোনও কাজ করার শুভ মুহূর্ত না-পেলে এই যোগে তা সম্পন্ন করা যেতে পারে। আবার এই শুভ যোগে কোনও কাজ করলে তা সফল হয়।
সূর্য ও চন্দ্রের পরিস্থিতি
বুদ্ধ পূর্ণিমার দিনে সূর্য থাকবে বৃষভ রাশিতে। বৃশ্চিক রাশিতে অবস্থান করবে চন্দ্র। আবার সূর্য নক্ষত্র রোহিণী এবং নক্ষত্র পদ অনুরাধা ও জ্যেষ্ঠা থাকবে।
দান ও স্নান করুন এই শুভক্ষণে
ব্রহ্ম মুহূর্ত- সকাল ৩টে ৫৪ থেকে ৪টা ৩৫ মিনিট পর্যন্ত।
বিজয় মুহূর্ত- দুপুর ২টো ২২ মিনিট থেকে ৩টে ১৬ মিনিট পর্যন্ত।
গোধূলি মুহূর্ত- সন্ধে ৬টা ৪১ মিনিট থেকে ৭টা ০৫ মিনিট পর্যন্ত।
অমৃত কাল- ৪টে ০৮ মিনিট থেকে ৫টা ৩২ মিনিট পর্যন্ত।
সর্বার্থ সিদ্ধি যোগ- সকাল ৫টা ১৭ মিনিট থেকে ভোর রাত ১টা ১৬ মিনিট পর্যন্ত (২৭ মে)।
অমৃত সিদ্ধি যোগ- সকাল ৫টা ১৭ মিনিট থেকে ভোর রাত ১টা ১৬ মিনিট পর্যন্ত (২৭ মে)।