দুর্গা পুজোর শেষ। আর তার পরেই এই পুজোর শুরু। তবে বেশি ক্ষণের জন্য নয়। দেবীর বিসর্জনের পরেই দশমীতে হয় এই পুজো। এ নাম অপরাজিতা পুজো। কেন এই পুজো করা হয়? এর পিছনে থাকা কাহিনিটাই বা কী?
দেবী অপরাজিতাকে আদিশক্তিরই অন্য এক অন্য রূপ বলে মনে করা হয়। কথিত আছে, স্বয়ং রামচন্দ্র দেবী অপরাজিতার পূজো প্রচলন করেছিলেন। শত্রুকে দমনের জন্য এই পুজো করা হয়।
এই পুজো সাধারণের পুজো নয়। তাই খুজব বেশি মানুষ এর কথা জানেন না। পুরোহিতরা চুপচাপ এই পুজোটি সেরে ফেলেন। দেবীর বিসর্জনের পরে এই পুজোটি করা হয়।
দুর্গাপুজোর প্রতিমা বিসর্জনের পরই হয় দেবী অপরাজিতার বোধন হয়। মনে করা হয়, দেবী অপরাজিতা দেবী দুর্গারই এক রূপ। সাদা অপরাজিতা গাছকেই দেবী রূপে কল্পনা করে এই পুজোটি করা হয়। আধুনিক নগর সভ্যতায় কাজটি কঠিন। কিন্তু আগে এই দিনে অপরাজিতা গাছের চারা রোপণ করা হত। পুজোর শেষে ভক্তদের হাতে সেই গাছের ডাল বেঁধে দেওয়া হত দেবীর বিজয়ের পর্তীক হিসাবে।।
কৌটিল্যর অর্থশাস্ত্র অনুযায়ী, কোনও রাজা যদি দশমীর পরে বিজয় যাত্রা শুরু করেন, তাহলে তাঁকে যুদ্ধে পরাজয় স্বীকার করতে হয় না। পণ্ডিত রঘুনন্দনের তিথিতত্ত্ব গ্রন্থেও রয়েছে এই বিশেষ পুজোর কথা।
দেবীর বিসর্জনের পরেও যে দেবী থেকে যান বিজয়ের প্রতীক হিসাবে, সেটিই প্রমাণ করতে অপরাজিতা পুজো করা হয়। দেবীর সর্ব সময়ের উপস্থিতির প্রার্থনার জন্যও এই পুজোর প্রচলন রয়েছে বলেই শোনা যায়। তবে সর্ব সাধারণ এই পুজোয় অংশ নেন না। এটি একেবারেই পুরোহিতদের প্রথা এবং আচার।