পানকে বিজয় এবং সম্মানের প্রতীক হিসাবে বিবেচনা করা হয়। পান কিন্তু অনেক দেবদেবীরই ভীষণ প্রিয় ৷তবে পূজাতে কিন্তু সর্বদাই মিষ্টি পান দেওয়া হয়ে থাকে। দশেরার দিনে পান খেয়ে হনুমান জিকে নিবেদন করার রীতি রয়েছে। এই দিন, পরিষ্কার পোশাক পরে, সন্ধ্যায় হনুমান জিকে পান অর্পণ করুন। এর পর হনুমান জির সামনে জুঁই ফুলের তেলের প্রদীপ জ্বালান।
হিন্দু ধর্মে হনুমানজির খুবই মাহাত্ম্য আছে ৷মনে করা হয় হনুমানজির পূজা পাঠের মাধ্যমে সমস্ত কষ্ট দূর করা সম্ভব৷ধার্মিক মান্যতা অনুসারে মনে করা হয় শ্রী রামচন্দ্রের আজ্ঞা অনুসারে আজও হনুমানজি ভক্তদের রক্ষা এবং কল্যাণের জন্য পৃথিবীতে বাস করেন ৷তাই বিশ্বাস করা হয় শুধুমাত্র মঙ্গলবার বজরংবলীর পুজো করে তাকে প্রসন্ন করে জাগতিক যে কোনও সমস্যা থেকে মুক্তি লাভ সম্ভব ৷
দশমীর দিন পান খাওয়া ও হনুমান জিকে পান নিবেদন করার রীতি রয়েছে। এই দিন, পরিষ্কার পোশাক পরে, সন্ধ্যায় হনুমান জিকে পান অর্পণ করুন। এর পর জুঁই তেলের প্রদীপ জ্বালান। কথিত আছে যে এই দিন বজরং বালিকে পান অর্পণ করলে ভগবান সমস্ত কষ্ট দূর করেন এবং জীবনে সুখ ও সমৃদ্ধি দেন। এছাড়াও দশেরার জন্য পান খাওয়ারও প্রথা রয়েছে এই দিন ।
দেখে নেয়া যাক এই এই পানে কী কী দিতে হয়
ছোট পানের পাতা
কথ্থা
গুলকন্দ এটা মূলত গোলাপের পাপড়ি এবং চিনি দিয়ে তৈরি
এবং মৌরি
ভগবানের জন্য নিবেদিত পানে কখনো সুপারি দিতে নেই
পানের খিলি আটকাবার জন্য অবশ্যই লবঙ্গ দেয়া উচিত। হনুমানজির এই পান বিশেষ প্রিয় ৷
বিশ্বাস করা হয় যে এই দিনে যখন ভগবান রাম রাবণকে বধ করেছিলেন, তখন মানুষ পান খেয়ে আনন্দ প্রকাশ করেছিল।তাই পানকে বিজয় এবং সম্মানের প্রতীক হিসাবে বিবেচনা করা হয়। এছাড়াও নবরাত্রির সপ্তম দিনে মাকে পান নিবেদনের প্রথা রয়েছে। তাই মিষ্টি পানের সম্পূর্ণ খিলি তৈরি করে দশেরার দিন হনুমান জিকে নিবেদন করা হয়।