বাংলা নিউজ > ভাগ্যলিপি > Rudraksha mala: রুদ্রাক্ষ ধারণের রয়েছে কিছু নিয়ম, না মানলে হতে পারে চরম ক্ষতি

Rudraksha mala: রুদ্রাক্ষ ধারণের রয়েছে কিছু নিয়ম, না মানলে হতে পারে চরম ক্ষতি

পুরান মতে ব্রহ্মা বিষ্ণু দেবতাদের সমবেত আহ্বানে পৃথিবীকে রক্ষার উদ্যেশে শিবের চোখ থেকে অশ্রু বিন্দু মাটিতে পড়ে, সেই অশ্রু বিন্দু থেকে এটি উৎপন্ন হয় বলে জানা যায়। 

Rudraksha mala: রুদ্রাক্ষ ধারণের নিয়ম বিধি নিষেধ গুলি জেনে নিন এখান থেকে।

সনাতন ধর্ম অনুসারে রুদ্রাক্ষ ধারণ এক অতি পবিত্র রীতি বলে মনে করা হয় । রুদ্রাক্ষের শৈবাগম কে মহাদেবের প্রত্যক্ষ আশীর্বাদ হিসেবে মনে করা হয়। ভারতীয় উপমহাদেশের বাইরে ইন্দোনেশিয়াতে রুদ্রাক্ষ লভ্য। এটি একটি গাছের ফল। এই গাছের বৈজ্ঞানিক নাম এলিওকারপাস গ্যানিট্রাস। পুরান মতে ব্রহ্মা বিষ্ণু দেবতাদের সমবেত আহ্বানে পৃথিবীকে রক্ষার উদ্যেশে শিবের চোখ থেকে অশ্রু বিন্দু মাটিতে পড়ে, সেই অশ্রু বিন্দু থেকে এটি উৎপন্ন হয় বলে জানা যায়। সাধারণত হিমালয় অঞ্চলে অধিক আকারে রুদ্রাক্ষ দেখা যায়। কার্তিক মাসের শেষে বা অঘ্রাণ মাসের শুরুতে রুদ্রাক্ষ ফল গাছে ধরা শুরু হয়। যখন এই ফলগুলি বৃক্ষের উপর শুষ্ক হয়ে যায় তখন আপনা থেকেই তার মাটিতে খসে পড়ে। এর ওপর একপ্রকার খোসা থাকে এই খোসা ছাড়ালে এই ফল রুদ্রাক্ষ রূপে প্রকাশ পায়। নেপাল, তিব্বত, ইন্দোনেশিয়া, জাভা, সুমাত্রা ও মালয়েশিয়া দেশেও রুদ্রাক্ষ উৎপন্ন হয়।

রুদ্রাক্ষ ধারণ মালা শোধন পদ্ধতি                                 

রুদ্রাক্ষ বা রুদ্রাক্ষের মালা পরিধানের আগে অবশ্যই তা শুদ্ধ করতে হবে। অশোধিত রুদ্রাক্ষ ধারন করলে সে নরকগামী হবে বলে বলা হয়েছে শিবমহাপুরাণের বিদ্যেশ্বর সংহিতা এবং স্কন্দপুরাণে।

একবার শোধন করে নিয়ে প্রতিদিনই ধারণ করার সময় শুধু ওম নমঃ শিবায় মহামন্ত্র বা রুদ্রগায়ত্রী বা রুদ্রাক্ষবৃক্ষ বীজায় ভূতি সংভূতি হেতবে । নেত্রত্রয়ায় রুদ্রায় নমো লোকহিতার্থিনে ॥ এই মন্ত্র উচ্চারণ করতে করতেই ধারণ করবেন।

রুদ্রাক্ষটি অবশ্যই ছয় মাস অন্তর একবার পুনরায় শোধন করে নেবেন। এতে রুদ্রাক্ষ মালার কার্যকারীতা বজায় থাকে।

রাতে শোবার সময় রুদ্রাক্ষ একটি পবিত্র কাপড়ে জড়িয়ে রাখবেন।

প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে স্নান করে রুদ্রাক্ষ ধারণ করবেন।

প্রতিদিন অন্তত ১০৮বার ওম নমঃ শিবায় মন্ত্র জপ করবেন ও নিত্যদিন শিবপুজো  করবেন।

রুদ্রাক্ষমালা ভেঙ্গে বা ফেটে গেলে নূতন রুদ্রাক্ষ মালা শোধন করে ধারণ করবেন।

ধারণ করা রুদ্রাক্ষমালাতে কখনো জপ করবেন না। কারণ জপের জন্য রুদ্রাক্ষ মালা এবং ধারণ করার জন্য রুদ্রাক্ষের মালা দুটিই ভিন্ন।

বিশেষজ্ঞ: মনোজিৎ দে সরকার

যোগাযোগ: 8777679776

বন্ধ করুন