আগামীকাল ১৫ অক্টোবর বিজয়াদশমী ও দশহরা। এদিনই মহিষাসুর বধ করেন দেবী দুর্গা। আবার আশ্বিন শুক্লপক্ষের দশমী তিথিতেই রাবণ বধ করেন রাম। তাই এই দিনটি পালিত হয় দশহরা হিসেবে। এদিন পশ্চিমবঙ্গে বিজয়া দশমীর ধূম থাকে। দুর্গাকে বরণ করে বিদায় জানানো হয়। সকলে মেতে ওঠেন সিঁদূর খেলায়। আবার ভারতের অন্যান্য রাজ্যে এদিন দশহরা পালিত হয়। রাবণ বধ করে অর্ধমের ওপর ধর্মের জয় উৎসব পালন করেন সকলে। স্বাভাবিক ভাবে এই তিথি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে। চলতি বছর এ দিনই সৃষ্টি হচ্ছে তিনটি শুভ যোগের। আবার এদিন অবুঝ মুহূর্ত থাকায় যে কোনও কাজের জন্য দিনটি শুভ। শাস্ত্র মতে বিজয়া দশমীর দিনে কিছু উপায় করলে অর্থাভাব দূর হয়, এমনকি উন্নতির পথ প্রশস্ত হয়। কী উপায় করলে অর্থ লাভ হবে জেনে নিন—
১. দশমীর দিন অস্ত্র-শস্ত্র পরিষ্কার করে তার পুজো করুন।
২. কোনও মামলা চললে, সেই মামলার নথিপত্র ঠাকুর ঘরে প্রতিমার নীচে রেখে দিন। বিজয়াদশমীর দিন এই উপায় করলে সুফল লাভ করবেন। মামলায় জয়ী হতে পারেন।
৩. সূর্যমুখীর বীজের পুজো করে লকারে রেখে দিন। এমন করলে অর্থাভাব থাকবে না।
৪. বিজয়া দশমীর দিনে মেয়েদের উদ্দেশ্যে দান-পুণ্য করলে দুর্গার বিশেষ আশীর্বাদ লাভ করা যায়। এর ফলে ধন বৃদ্ধি হয় ও সাফল্য লাভ করা যায়।
৫. চাকরিতে উন্নতির জন্য বিজয়া দশমীর দিনে কাঁচা সুতোকে জাফরান দিয়ে রঙ করুন। এর পর ওম নমো নারায়ণ মন্ত্র ১০৮ বার জপ করুন। জপ শেষ হওয়ার পর সেই কাঁচা সুতো নিজের কাছেই রেখে নিন।
৬. এদিন থেকে প্রতিদিন ১০৮ বার গায়ত্রী মন্ত্র জপ করুন। এর প্রভাবে বুদ্ধি শুদ্ধ ও নির্মল হবে। কোনও দুর্বল ব্যক্তির ওপর নিজের শক্তি ও সামর্থ্য প্রয়োগ করবেন না।
৭. নিজের ও পরিবারের ওপর আগত নেতিবাচক দুষ্প্রভাব দূর করার জন্য দক্ষিণ দিকে মুখ করে বজরংবলীর সামনে তিল তেলের প্রদীপ প্রজ্জ্বলিত করুন। এর পর উচ্চস্বরে সুন্দরকাণ্ড পাঠ করুন।