ফাল্গুন মাসের পূর্ণিমায় হোলিকা দহন হয়। এদিনই দোল পূর্ণিমা। এর পর দিন, অর্থাৎ কৃষ্ণপক্ষের প্রতিপদায় হোলি খেলা হয়। চলতি বছর ২৮ মার্চ দোল পূর্ণিমা ও ২৯ মার্চ হোলি। বিষ্ণুর ভক্ত প্রহ্লাদের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত এই উৎসব। হোলি সত্য ও শুভ শক্তির জয় এবং অশুভ শক্তির পরাজয়ের ঘোষণা করে। তাই দোলপূর্ণিমা বা হোলিকা দহন ও হোলি— দুই দিনকেই শুভ মনে করা হয়। এদিন কিছু উপায় করলে জীবনের নানান সমস্যা দূর করা যায়।
১. ঋণের জালে জর্জরিত থাকলে ও ঋণমুক্তির কোনও পথ দেখা না-দিলে হোলির দিনে নৃসিংহ স্তোত্র পাঠ করুন ও হোলিকার আগুনে নারকেল অর্পণ করুন। মনে করা হয় ন্যাড়া পোড়ার সময় তাতে নারকেলের আহুতি দিলে শীঘ্র ঋণ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। নিজের ভক্ত প্রহ্লাদের রক্ষা হেতু নৃসিংহ অবতার ধারণ করেছিলেন বিষ্ণু।
২. ব্যবসা বৃদ্ধির জন্য হোলির দিনে শিবলিঙ্গে ২১টি গোমতী চক্র অর্পণ করুন। রাতের দিকে ‘ওম নমো ধনদায় স্বাহা’ মন্ত্রের জপ করুন। প্রচলিত আছে যে, এর ফলে ধন ও ব্যবসায় বৃদ্ধি হয়।
৩. হোলির রাতে উত্তর দিকে একটি পিড়ি বা চৌকিতে সাদা কাপড় বিছিয়ে তাতে মুগ, ছোলা ডাল, চাল, গম, মুসুর জাল, কালো বিউলি ডাল ও তিল রাখুন। এর ওপর নবগ্রহ যন্ত্র স্থাপন করুন। এর পর ঘিয়ের প্রদীপ প্রজ্জ্বলিত করুন ও জাফরানের তিলক লাগান। এর পর নবগ্রহ ও কামদেব-রতির পুজো করুন। এর ফলে দাম্পত্য জীবনের সমস্যার সমাধান হয় ও স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কে মাধুর্য আসে।
৪. ন্যাড়া পোড়ার সময় আগুনে জবের আটা অর্পণ করুন। এর পরের দিন ন্যাড়া পোড়ার ভস্ম নিয়ে আসুন ও সেটিকে রুমালে বেঁধে টাকা রাখার স্থানে রেখে দিন। মনে করা হয় যে, এর ফলে অর্থের অপব্যয় কমে যায় ও অর্থ সঞ্চয় হতে শুরু করে।