জ্যোতিষীদের মতে, শনিবার প্রতিকার করলে শনি দোষ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। আসুন জেনে নেওয়া যাক কোন উপায়ে শনিদেব প্রসন্ন হন এবং কৃপা বর্ষণ শুরু করবেন।
৯টি গ্রহের মধ্যে শনিদেবের নাম এলেই মানুষ ভয় পেতে শুরু করে। শনির ধাইয়া, সাড়ে সাতি এবং বাঁকা দৃষ্টির কারণে এই ভয় আরও বাড়ে। । অবশ্যই, যে কোনও ব্যক্তির কুণ্ডলীতে শনির অবস্থান দুর্বল হলে তাকে সমস্ত ধরণের সমস্যায় পড়তে হয়, তবে এমন নয় যে শনিই আপনাকে কেবল কষ্ট দেয়। শনি ন্যায়ের দেবতা। শনি আপনার কর্মের পূর্ণ ফল দেন।
কিভাবে শনিবার উপবাস রাখবেন
শনির আশীর্বাদ পেতে শনিবার উপবাস করা একটি অন্যতম প্রতিকার। শনিবারের উপবাস শুক্লপক্ষের শনিবার শুরু করতে হবে এবং কমপক্ষে ১৯ শনিবার উপবাস রাখতে হবে। যদি ৫১শনিবার উপবাস করা হয় তবে তা চমৎকার ফলাফল দেয়। উপবাসের দিন, সকালে স্নান এবং ধ্যান করার পরে শনি মন্ত্রের তিন মালা জপ করতে হবে। এরপর পরিষ্কার জলে কালো তিল, ফুল, লবঙ্গ, চিনি, গঙ্গাজল এবং সামান্য দুধ মিশিয়ে পশ্চিমমুখী করে অশ্বত্থ বৃক্ষকে নিবেদন করতে হবে। সন্ধ্যায় প্রসাদ আকারে সাধারণ খাবার গ্রহণ করুন। প্রসাদ গ্রহণের আগে ব্রাহ্মণকে লাড্ডু বা মিষ্টি তেল, তিল ইত্যাদি দান করুন। শেষ উপবাসের দিন যজ্ঞ এবং শনি স্তোত্র পাঠ খুব লাভকারি। এই উপবাস পালন করলে শনির ধাইয়া, সাড়ে সাতি এবং শনির দশায় বিশেষ উপকার পাওয়া যায়।
শনির দান
শনিবার চা পাতা, কালো তিল, লোহা বা চামড়ার জিনিস, তাওয়া, চিমটি ইত্যাদি দান করুন।
শনির প্রতিকার
একটানা শনিবার উপবাস রাখুন এবং বিশেষভাবে শিবের পূজা করুন।
-শনিবার রাতে শিব, হনুমান মন্দির ও অশ্বত্থ বৃক্ষের নিচে সরিষার তেলের প্রদীপ জ্বালান।
শনিবার শনিদেবের জন্য সরিষার তেল নিবেদন করুন।
শনিবার শনির বৈদিক মন্ত্র জপ করুন। দশরথের শনিশ্চর স্তোত্র পাঠও অত্যন্ত শুভ।
এবং শনিবার ভুলেও তেল, কয়লা, লোহা, লবণ ইত্যাদি কিনবেন না।
(উপরোক্ত তথ্য ধর্মীয় আস্থা ও লৌকিক মান্যতার উপর আধারিত)