মানুষের জীবন পাল্টে ফেলতে পারে গ্রহ-নক্ষত্রের দিশা ও দশা। শুধু তাই নয়, এই গ্রহের প্রভাবই ডেকে আনতে পারে বিপর্যয় , পাল্টে ফেলতে পারে ব্যক্তির জীবন। শুধু মানুষের জীবনকেই নয়, প্রকৃতিকেও প্রভাবিত করে গ্রহদশা। জ্যোতিষশাস্ত্র মতে, প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে গ্রহগতির। অর্থাৎ, নানান ধরণের গ্রহযোগ বা জ্যোতিষ শাস্ত্রীয় ঘটনার কারণে বিপর্যয়ের কবলে পড়ে প্রকৃতি। আবার গ্রহণের মতো ঘটনাবলীর প্রভাব থাকে গ্রহণের দিনের ৪১ দিন আগে থেকে ৪১ দিন পর পর্যন্ত।
জ্যোতিষ শাস্ত্র মতে, বর্তমানে বুধ, শুক্র এবং রাহু একই রাশিতে অবস্থান করছে। এই ত্রিগ্রহী যোগই ডেকে আনছে ঘূর্ণিঝড়, বিপর্যয়। জ্যোতিষ মতে, একই রাশিতে এই তিন গ্রহের অবস্থানের প্রভাবে গুজরাতে তাণ্ডব চালিয়েছিল ঘূর্ণিঝড় তাউটে। আবার ২৬ মে-র ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের পিছনেও দায়ী গ্রহগতিই। আবার প্রচলিত রয়েছে গ্রহণের ৪১ দিন আগে ও পরে গ্রহণের প্রভাব থাকে। এ সময় দেখা দিতে পারে প্রাকৃতিক বিপর্যয় বা নানান দুর্ঘটনা। প্রথমে তাউটে এবং পরে ইয়াস— এই দুই ঘূর্ণিঝড়ই এসেছিল এই ৪১ দিনের সময়কালের মধ্যেই। উল্লেখ্য, ২৬ মে হয়েছে চলতি বছরের প্রথম চন্দ্র গ্রহণ।
অন্য দিকে গত বছর আমফানের তাণ্ডবের সময় এমনই এক গ্রহ যোগ সৃষ্টি হয়েছিল বলে দাবি জ্যোতিষীদের। সেই সময় সূর্য, চন্দ্র, বুধ ও শুক্র বৃষ রাশিতে অবস্থান করছিল। এবার ইয়াস আছড়ে পড়ার আগেও একই পরিস্থিতি রয়েছে। এ সময় রাহু, বুধ ও শুক্র রয়েছে বৃষ রাশিতে। ২৫ মে বৃশ্চিক রাশিতে প্রবেশ করেছে চন্দ্র। যাকে অগ্নিতে ঘৃতাহূতির সমান মনে করছেন জ্যোতিষীরা। তার ওপর চন্দ্রগ্রহণ। এ সব মিলেই শক্তি বেড়েছে ইয়াসের। ফলে ওড়িশার বিস্তির্ণ এলাকা-সহ বাংলার উপকূলবর্তী এলাকায় ধ্বংসলীলা চালিয়েছে এই ঘূর্ণিঝড়।
জ্যোতিষীদের মতে, এই প্রথম নয়, এর আগেও এই গ্রহগুলি একসঙ্গে আসার ফলে কোনও না-কোনও বিপর্যয় ঘটেছে। উল্লেখ্য ২০১৯ সালের মে মাসের প্রথমদিকে যখন ওড়িশায় ফণী আছড়ে পড়েছিল, তখনও একসঙ্গে অবস্থান করছিল শুক্র, বুধ ও চন্দ্র। এমনকী, ২০০৪ সালের সুনামির সময়ও একসঙ্গে ছিল শুক্র ও বুধ। যদিও জ্যোতিষ শাস্ত্রের যুক্তির সঙ্গে অনেকেই সহমত পোষণ করেন না।