চীনা বাস্তুশাস্ত্র ফেং শুইতে লাফিং বুদ্ধ, তিন পায়ের ব্যাঙ এবং চীনা মুদ্রার গুরুত্ব যেভাবে বর্ণনা করা হয়েছে, ঠিক সেভাবে কচ্ছপের আংটিরও বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে বলে মনে করা হয়। বলা হয় কচ্ছপের আকৃতির আংটি পরলে দুর্ভাগ্য দূর হয়। যিনি কচ্ছপের আংটি পরবেন, তার উপর মা লক্ষ্মীর কৃপা বজায় থাকে। এ ধরনের মানুষের জীবনে অর্থ ও খাবারের কোনো অভাব হয় না। তাহলে চলুন আজ জেনে নিই কচ্ছপের আংটি পরার সঠিক পদ্ধতি এবং এটি পরার উপকারিতা সম্পর্কে।
বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে, কচ্ছপের আংটি পরলে নেতিবাচক শক্তি দূর হয় এবং ইতিবাচক শক্তি তার চারপাশে বাস করে। ভারতীয় জ্যোতিষশাস্ত্রে কচ্ছপকে দেবী লক্ষ্মীর প্রতীক হিসাবে বিবেচনা করা হয়। তাই এটি পরলে বাড়িতে ধন-সম্পদ ও সুখ-সমৃদ্ধি আসে।
এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে যিনি কচ্ছপের আংটি পরেন, তিনি তাঁর জীবনে সমস্ত ধরণের আরাম এবং সম্পদ পান। এর সাথে আর্থিক সীমাবদ্ধতাও দূর হয়। এছাড়াও, কচ্ছপকে শান্তি এবং ধৈর্যের প্রতীক হিসাবে বিবেচনা করা হয়, তাই এই আংটি পরলে মানুষের মধ্যে ধৈর্য এবং শান্তি আসে।
এটা বিশ্বাস করা হয় যে কচ্ছপের আংটি শুধুমাত্র রৌপ্য ধাতু থেকে তৈরি করা উচিত তবেই এর শুভ ফল দেখা যায়। একই সময়ে, এই আংটিটি শুধুমাত্র ডান হাতে পরা উচিত। বাম হাতে পরলে এর সুফল পাওয়া যায় না।
কচ্ছপের আংটি ডান হাতের তর্জনী বা মধ্যমা আঙুলে পরতে হবে। এটি পরার সময় মনে রাখবেন এর মাথা যেন আপনার দিকে থাকে। এটি অর্থ আকর্ষণ করে। কচ্ছপের মুখ বাইরে থাকলে টাকা খরচের সম্ভাবনা থাকে বলে মনে করা হয়।
(উপরোক্ত তথ্য ধর্মীয় আস্থা ও লৌকিক মান্যতার উপর আধারিত)