দুই মুখী রুদ্রাক্ষের গুরুত্ব
প্রাকৃতিক ভাবে যে রুদ্রাক্ষের দুটি মুখ তাকে দু মুখী রুদ্রাক্ষ বলা হয়। এই রুদ্রাক্ষ কে ভগবান শিব ও মা পার্বতীর রূপ বলে মানা হয়ে থাকে একে অর্ধনারীশ্বর রুদ্রাক্ষ বলা হয়। এই রুদ্রাক্ষ যিনি ধারণ করেন তিনি ভগবান শিব এবং মা পার্বতীর অসীম কৃপা লাভ করে থাকেন। এই রুদ্রাক্ষের ধারণ কর্তার ত্রিবিধ পাপের নাশ হয়। তার জীবন সদা সুখময় হয়ে ওঠে এবং প্রচুর ঐশ্বর্য প্রাপ্তি ঘটে। যাদের বিবাহিত জীবনে সন্তানের ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি হয় তাদের অবশ্যই এই রুদ্রাক্ষ ধারণ করা উচিত। বৈদিক শাস্ত্র অনুযায়ী মনে করা হয় এই রুদ্রাক্ষ দর্শনে মহাপুণ্য লাভ হয়। এই রুদ্রাক্ষের মালা জপ দ্বারা যে সুকৃতি বা পুণ্য লাভ হয় তার বিচার করা যায় না। অতএব এ রুদ্রাক্ষ মহারত্নের চেয়ে ও মহত্তর।
দুই মুখী রুদ্রাক্ষ ধারণ করে স্মরণশক্তি ও মানসিক বল প্রচুর পরিমাণে বৃদ্ধি পায়। এর ধারণে গৃহক্লেস দূর হয়। এই রুদ্রাক্ষের ধারণ কর্তা প্রায় সমস্ত কাজে সফলতা লাভ করে থাকেন। অজান্তে কোন অন্যায় বা পাপ করলে এই রুদ্রাক্ষ ধারণ দ্বারা সমস্ত পাপ দূরীভূত হয়। পেটের যে কোন রোগে অথবা হৃদরোগে বিশেষ কাজ দেয়। দু মুখী রুদ্রাক্ষ কে বৈভব দাতা বলে মানা হয়। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সুসম্পর্ক তৈরি করে এই রুদ্রাক্ষ। যে সমস্ত ব্যক্তি মানসিকভাবে দুর্বল বা মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন কিংবা মানসিক অস্থিরতায় ভোগেন তাদের জন্য এই রুদ্রাক্ষ অবশ্যই ফলদায়ক হবে।
যাদের জন্ম পত্রিকায় চন্দ্রের কোন দোষ আছে অথবা চন্দ্রের মহাদশা চলছে তারা এই রুদ্রাক্ষ ধারণের শুভ ফল লাভ করবেন। যে সমস্ত মহিলাদের গৃহে অশান্তি আছে তারা দু মুখি রুদ্রাক্ষের অবশ্যই পূজা করবেন। দু মুখী রুদ্রাক্ষ বীজ ফল অর্ধনারীশ্বর এর প্রতীক। তাই এই বীজ ফল ধারণ করলে অর্ধনারীশ্বর প্রসন্নতা লাভ করা যায়।
বিশেষজ্ঞ: মনোজিৎ দে সরকার