আগামীকাল ৩০ নভেম্বর উৎপন্ন একাদশী। বিষ্ণুকে সমর্পিত একাদশী তিথি। সাধারণত প্রতি মাসে দুটি একাদশী তিথি আসে এবং প্রতিটির পৃথক পৃথক গুরুত্ব রয়েছে। তবে মার্গশীর্ষ মাসের কৃষ্ণ পক্ষের একাদশীকে অত্যন্ত পবিত্র মনে করা হয়। এই একাদশীকে উৎপন্না একাদশী বলা হয়। এই একাদশী ব্রত পালন করলে মোক্ষ লাভ করা যায়। প্রচলিত ধারণা অনুযায়ী বিষ্ণু থেকেই একাদশী দেবীর জন্ম। মার্গশীর্ষ মাসের কৃষ্ণ পক্ষের একাদশীতে একাদশী মাতা প্রকট হয়েছিলেন। তাই এই একাদশীর নাম উৎপন্না একাদশী রাখা হয়।
উৎপন্না একাদশীর শুভক্ষণ
উৎপন্না একাদশী শুরু- ৩০ নভেম্বর ভোর ৪টা ১৩ মিনিটে।
উৎপন্না একাদশী সমাপ্ত- ১ ডিসেম্বর ভোর রাত ২টো ১৩ মিনিটে।
হরিবাসর সমাপ্তির সময়- ১ ডিসেম্বর সকাল ৭টা ৩৪ মিনিটে।ব্রত ভঙ্গের সময়- ১ ডিসেম্বর সকাল ৭টা ৩৪ মিনিট থেকে ৯টা ০২ মিনিট পর্যন্ত।
এই ব্রতের গুরুত্ব
বিষ্ণুকে প্রসন্ন করার জন্য এই উপবাস রাখা হয়। এ দিন উপবাস করলে মন নির্মল, শরীর সুস্থ থাকে। এর প্রভাবে জীবনে সুখ-শান্তির আগমন ঘটে। সন্তান লাভ ও আরোগ্য থাকার জন্য এই একাদশীর উপবাস করা হয়উৎপন্না একাদশীর সঙ্গে জড়িত পৌরাণিক কাহিনি
পুরাণ অনুযায়ী, একদা বিষ্ণু ও মুর নামক রাক্ষসের যুদ্ধ বাঁধে। ক্রমাগত যুদ্ধ করে যাওয়ার ফলে ক্লান্ত হয়ে পড়েন বিষ্ণু। তাই বদ্রিকাশ্রমে একটি গুহায় গিয়ে বিশ্রাম নিতে শুরু করেন। বিষ্ণুর পিছু নিয়ে বদ্রিকাশ্রমে পৌঁছয় মুর রাক্ষস। কিন্তু সেই গুহার ঘুমিয়ে পড়েছিলেন বিষ্ণু। নিদ্রামগ্ন বিষ্ণুকে রাক্ষস মুর হত্যা করতে চাইলে বিষ্ণুর শরীর থেকে এক দেবী প্রকট হন। মুর রাক্ষসের বধ করেন ওই দেবী। এতে অত্যন্ত সন্তুষ্ট হন বিষ্ণু এবং বলেন যে, ‘কৃষ্ণ পক্ষের একাদশী তিথিতে আপনার জন্ম হওয়ায় আপনার নাম একাদশী রাখা হবে। সমস্ত ব্রতর মধ্যে তোমার ব্রতই শ্রেষ্ঠ হবে। আজ থেকে প্রতি একাদশীতে আমার সঙ্গে তোমার পুজো করা হবে। যে ভক্ত একাদশীর উপবাস রাখবে, সে সমস্ত পাপ থেকে মুক্তি পাবে।’