কার্তিক পূর্ণিমার একদিন আগে বৈকুণ্ঠ চতুর্দশী পালিত হয়। হিন্দু পঞ্জিকা অনুসারে কার্তিক মাসের শুক্লপক্ষের চতুর্দশী তিথির বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে। একে বৈকুণ্ঠ চতুর্দশী বলা হয়। কার্তিক মাসের শুক্লপক্ষের চতুর্দশী ভগবান বিষ্ণু এবং ভগবান শিবের ভক্তদের জন্য পবিত্র বলে বিবেচিত হয় কারণ বৈকুণ্ঠ চতুর্দশীর দিনে শ্রী হরি বিষ্ণু এবং ভগবান শঙ্কর উভয়েরই পূজা করা হয়।
বিশ্বাস করা হয় যে এই দিনে ভগবান বিষ্ণুর আরাধনা করলে সাধক বৈকুণ্ঠ ধাম লাভ করেন এবং শিবের কৃপায় পাপ থেকে মুক্তি পান। বারাণসীর বেশিরভাগ মন্দির বৈকুণ্ঠ চতুর্দশী উদযাপন করে এবং এটি দেব দীপাবলির মত আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ আচারের একদিন আগে আসে। বারাণসী ছাড়াও, বৈকুণ্ঠ চতুর্দশী ঋষিকেশ, গয়া এবং মহারাষ্ট্রের অনেক শহরেও পালিত হয়। আসুন জেনে নিই এবারের বৈকুণ্ঠ চতুর্দশীর তিথি, পূজা, মুহূর্ত গুরুত্ব ও পূজার পদ্ধতি।
বৈকুণ্ঠ চতুর্দশী তিথি
কার্তিক মাসের শুক্লপক্ষের চতুর্দশী তারিখ শুরু হয়: ৬ নভেম্বর ২০২২, রবিবার, বিকাল ৪.২৮ এ
কার্তিক মাসের শুক্লপক্ষের চতুর্দশী তিথি শেষ হয়: ৭ই নভেম্বর ২০২২, সোমবার বিকেল ৪:১৫ মিনিটে
শাস্ত্র অনুসারে, নিশীথ সময়ে বৈকুণ্ঠ চতুর্দশীতে ভগবান বিষ্ণুর পূজা করা হয়, তাই বৈকুণ্ঠ চতুর্দশী ৬ নভেম্বর পালিত হবে।
বৈকুণ্ঠ চতুর্দশী ২০২২ মুহূর্ত
নিশীথকাল পূজার মুহুর্তা - ০৬ নভেম্বর ২০২২ রাত ১১.৪৫ - থেকে ০৭ নভেম্বর,২০২২ রাত ১২.৩৭
সকালের পূজার সময় - ০৭ নভেম্বর সকাল ১১.৪৮ - দুপুর ১২.৩২ পর্যন্ত
বৈকুণ্ঠ চতুর্দশীর তাৎপর্য
বৈকুণ্ঠ চতুর্দশীর দিনটিকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়। এই দিনটি বিশেষ কারণ এই দিনে ভগবান বিষ্ণু এবং ভগবান শিব উভয়েরই পূজা করা হয়। শিব পুরাণ অনুসারে, বৈকুণ্ঠ চতুর্দশীর দিন ভগবান শিব ভগবান বিষ্ণুকে সুদর্শন চক্র দিয়েছিলেন। ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে, এই দিনে যদি কোনও ভক্ত ১০০০টি পদ্মফুল দিয়ে ভগবান বিষ্ণুর পূজা করেন তবে তিনি বৈকুণ্ঠধামে স্থান পান।
বৈকুণ্ঠ চতুর্দশীর পূজা পদ্ধতি
চতুর্দশীর দিন সকালে স্নান সেরে উপবাসের ব্রত নিন।
এরপর ১০৮ টি পদ্মফুল দিয়ে শ্রী হরি বিষ্ণুকে ও ভগবান শঙ্করকে পূজা করুন।
এই দিন সারা দিন বিষ্ণু ও শিবের নাম জপ করুন।