গরুড় পুরাণকে হিন্দুধর্মের ১৮টি প্রধান পুরাণের মধ্যে একটি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এতে ভগবান বিষ্ণু এবং তাঁর পাখি গরুড়ের মধ্যে কথোপকথনের উল্লেখ রয়েছে। স্বর্গ, নরক, পাপ, পুণ্য এবং মৃত্যু ছাড়াও জ্ঞান, বিজ্ঞান, ভক্তি, পুণ্য এবং ধর্মের সঙ্গে সম্পর্কিত সকল বিষয়ের উল্লেখ করা হয়েছে এই পুরাণে। এর মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে কল্যাণের পথ দেখানো হয়েছে। গরুড় পুরাণে উল্লেখিত বিষয়গুলি অনুসরণ করলে জীবনের অনেক সমস্যা এড়ানো যায়।
এই ক্ষেত্রে, গরুড় পুরাণে এমন ১০টি ঘরের কথা উল্লেখ করা হয়েছে, যেখানে আহার একজন ব্যক্তিকে পাপের সহযোগী করে তোলে। কারণ, খাবারের মাধ্যমে, সেই ব্যক্তির চিন্তাভাবনা এবং তার ঘরের শক্তি শরীরে প্রবেশ করে। যদি চিন্তাভাবনা এবং শক্তি নেতিবাচক হয়, তাহলে অন্য দের উপরও একই প্রভাব পড়বে। ১০টি বাড়ি যেখানে খাওয়া নিষিদ্ধ বলে মনে করা হয় গরুড় পুরাণ অনুসারে।
১. যারা খুব রেগে যান তাদের বাড়িতে খাওয়া এড়িয়ে চলুন, অন্যথায় তাদের গুণাবলী আপনার উপরও প্রভাব ফেলতে পারে। এই কারণেই বলা হয় যে খাদ্য যেমন, মনও তেমন।
২. যে রাজা অত্যন্ত নিষ্ঠুর এবং প্রজাদের উপর অত্যাচার করে, তার ঘরের খাবার কখনই খাওয়া উচিত নয়। এই খাবার অন্যদের তার পাপের অংশীদার করে তোলে।
৩. বৃহন্নলা সম্প্রদায় সব ধরণের মানুষের কাছ থেকে অনুদান পান, অর্থাৎ তাদের ঘরে সব ধরণের অর্থ আসে। অতএব, তাদের বাড়িতে খাবেন না।
৪. যদি কোনও চোর বা অপরাধীর বাড়িতে খান, তাহলে তার ঘরের নেতিবাচকতাও যে খাচ্ছে অর্থাৎ ভোজন করছে তাঁর শরীরে প্রবেশ করে এবং এটি চিন্তাভাবনাকেও কলুষিত করে। তাই কখনও এমন লোকদের বাড়িতে খাবেন না।
৫. যারা অপরিচ্ছন্ন তাদের বাড়িতে খাওয়া এড়িয়ে চলুন।
৬. চরিত্রহীন পুরুষ বা মহিলার বাড়িতে খাওয়া উচিত নয়। এই ধরনের বাড়িতে খাবার খাওয়াও পাপের কারণ হয়।
৭. যে ব্যক্তির দয়া নেই, যে অন্যদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে, অন্যদের উপর অত্যাচার করে, তার ঘরে খাবার খাওয়া পাপ।
৮. যারা অন্যদের সঙ্গে প্রতারণা করে তারা যে কাউকে সমস্যায় ফেলতে পারে। এই ধরনের লোকদের থেকে দূরে থাকুন এবং তাদের বাড়িতে কখনও খাবেন না।
৯. যারা মাদক সেবন ও বিক্রি করে তাদের বাড়িতে খাবেন না। তারা নিজেদের এবং অন্যদের ঘরবাড়ি সংসার নষ্টের কারণ হয়।
১০. যারা সুদ খায় তাদের সম্পদ কখনই ভালো বলে বিবেচিত হয় না। কারণ, এই ধরনের লোকেরা কারও পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে অর্থ উপার্জন করে। এটিকে পাপের উপার্জন হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এই ধরনের লোকদের বাড়িতে কিছু খাওয়া এড়িয়ে চলুন।