বাস্তু দোষের কারণে বাড়ির সদস্যদের চিন্তায় নেতিবাচকতার প্রভাব ফেলে। যে বাড়ি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা হয় না সেখানে বাস্তু দোষ বেড়ে যায়। তাই সব সময় বাড়িতে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার প্রতি যত্ন নেওয়া উচিত। নেতিবাচক চিন্তাভাবনার কারণে, কার্যগুলি সফল হয় না এবং মানসিক চাপের সম্মুখীন হতে হয় পরিবারের সদস্যদের।
মহালয়া শব্দটির অর্থ, মহান আলয় বা আশ্রম। এক্ষেত্রে দেবী দুর্গাই হলেন, সেই মহান আলয়। পুরাণ থেকে মহাভারত, মহালয়া ঘিরে বর্ণিত আছে নানা কাহিনি। মহালয়ার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে আরও এক গুরুত্বপূর্ণ রীতি যার মাধ্যমে বাস্তুশাস্ত্রে নেতিবাচক শক্তির থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। জ্যোতিষবিশারদদের মতে বাস্তুর ত্রুটি অপসারণ করার জন্য এই ৩ উপাদান ব্যবহার করা উচিত। মহালয়ার এই শুভ সময়ে জেনে নেওয়া যাক বাস্তুর ত্রুটি এড়াতে কীভাবে কাজে লাগাবেন এই জিনিসগুলি।
কর্পূর, দেশী ঘি, চন্দন এই তিনটি জিনিসই পবিত্র হিসাবে বিবেচিত হয় এবং সেগুলি থেকে উদ্ভূত ধোঁয়া ঘরের পরিবেশকে পবিত্র করে তোলে।
ঘরের নেগেটিভ শক্তি নষ্ট করতে হলে প্রতিদিন কিছু সময়ের জন্য কর্পূর, দেশী ঘি, চন্দন সামান্য নারকেল এর ছোবায় নিয়ে ঘরে ধোঁয়া ছড়িয়ে দিতে হবে।
এই ধোঁয়ায় জীবাণু ধ্বংস হয়ে যায় এবং বাস্তু দোষের প্রভাবও শেষ হয়। ধনাত্মক শক্তি বৃদ্ধি পায়।
এর জন্য আপনি মাটির তৈরি কোনও পাত্র অথবা পিতলের পাত্র ব্যবহার করতে পারেন। এই ধোঁয়া বাড়ির প্রতিটি কোনায় ছড়িয়ে দিন। এরূপ ধূপ দিলে আপনি ঘরে নেগেটিভ শক্তি কমে পজেটিভ শক্তি বৃদ্ধি পাবে ও ঈশ্বরের আশীর্বাদও পেতে পারেন।
ঘরে থাকা দুর্গন্ধও এই ধোঁয়ায় দূর হয়। এছাড়া সংসারে আনে সমৃদ্ধি। এই উপাদানগুলি সহজেই বাজারে পাওয়া যায়। ফলে শারদীয়ার আগেই সহজেই কাটিয়ে ফেলুন বাস্তুদোষ।
বিশেষজ্ঞ: মনোজিৎ দে সরকার
যোগাযোগ: 8777679776