হিন্দু ধর্মে, প্রতিটি দিনই কোন না কোন দেবতার উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করা হয়। সোমবার ভগবান শিবের উদ্দেশ্যে উৎসর্গীকৃত। আজ, মঙ্গলবার, হনুমানের উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করা হয়। মঙ্গলবার ভগবান হনুমানের পুজো করলে মানসিক শান্তি আসে এবং ভয় দূর হয়। মঙ্গলবারের বেশ কিছু প্রতিকারও রয়েছে যা জীবনের বাধা দূর করতে সাহায্য করে। এই দিনে কর্পূর এবং লবঙ্গ পোড়ানো নেতিবাচক শক্তি দূর করে। মঙ্গলবার কর্পূর এবং লবঙ্গ পোড়ানোর অনেক উপকারিতা রয়েছে। উপকারিতা ছাড়াও, সঠিক সময় এবং পদ্ধতি জেনে নিন। খুব কম লোকই জানেন যে লবঙ্গ এবং কর্পূর পোড়ানো কেবল খারাপ দৃষ্টি দূর করে না, বরং নিয়মিত পোড়ানো হলে পূর্বপুরুষদের অভিশাপও দূর করে।
মঙ্গলবার কর্পূর ও লবঙ্গ পোড়ানোর কী কী উপকারিতা
১. কর্পূর এবং লবঙ্গ পোড়ানো ঘরে ইতিবাচক শক্তি নিয়ে আসে, যা পরিবারের সকল সদস্যের জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আনে।
২. যদি আপনি ক্রমাগত চাপে থাকেন এবং অতিরিক্ত চিন্তাভাবনা করেন, তাহলে বাড়িতে কর্পূর এবং লবঙ্গ পোড়ানো শুরু করুন। এটি ধীরে ধীরে আপনার মানসিক চাপ কমাবে।
৩. বাড়িতে নিয়মিত কর্পূর এবং লবঙ্গ জ্বালালে সুখ ও সমৃদ্ধি বজায় থাকে। মন শান্ত থাকে এবং ঘরে সুখ ফিরে আসে।
৪. কর্পূর এবং লবঙ্গ জ্বালানো স্বাস্থ্যের জন্যও ভালো। এটি অনেক রোগ নিরাময়ে সাহায্য করে। আপনি শরীরে অনেক ইতিবাচক পরিবর্তনও লক্ষ্য করবেন।
৫. কর্পূর এবং লবঙ্গ জ্বালানোও ভগবান হনুমানের আশীর্বাদ নিয়ে আসে। আপনি যদি জীবনে কঠোর পরিশ্রম করেও সাফল্য না পান, তাহলে এই প্রতিকারটি চেষ্টা করে দেখুন। এই প্রতিকারের মাধ্যমে, আপনি ভগবান হনুমানকে খুশি করতে পারেন এবং সবচেয়ে কঠিন কাজও সম্পন্ন করা যেতে পারে।
আরও পড়ুন - কোজগরী পূর্ণিমায় চন্দ্র ও শনির যুতি! ৪ রাশির জীবনে টাকার ফোয়ারা, সুখবর প্রেমেও
আরও পড়ুন - শুক্রের চালে ঘুরছে কপাল! বসের সুনজরে ফুলবে পকেট, দাম্পত্যেও সুখ! কারা লাকি?
এই সময়ে কর্পূর এবং লবঙ্গ জ্বালান
সূর্যাস্তের পরে সন্ধ্যায় ঘরে কর্পূর এবং লবঙ্গ জ্বালানো সবচেয়ে শুভ বলে মনে করা হয়। সন্ধ্যার প্রার্থনার পরে করা হলে, এর উপকারিতা দ্বিগুণ হয়। মঙ্গলবার এই প্রতিকারটি করতে ভুলবেন না, কারণ এটি ঘরোয়া ঝামেলা থেকে মুক্তি পেতে এবং পরিবেশকে বিশুদ্ধ করতে সাহায্য করে।
পাঠকদের প্রতি: প্রতিবেদনটি জ্যোতিষশাস্ত্রের গণনার ভিত্তিতে লেখা হয়েছে। এখানে লেখা সব কথা আগামী দিনে সত্য প্রমাণিত হবে, এমন দাবি করা হচ্ছে না। জ্যোতিষশাস্ত্র সংক্রান্ত কোনও প্রশ্ন বা কোনও সমস্যার সমাধানের জন্য পেশাদার জ্যোতিষীর সঙ্গে আলোচনা করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।