সম্পর্কের তিক্ততা দূর করে ভালোবাসা ও বোঝাপড়া বাড়াতে বাস্তুশাস্ত্রে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস দেওয়া আছে। মূলত শয়নকক্ষ বা বেডরুমের সঠিক বিন্যাস এবং কিছু প্রতীকী উপাদানের ব্যবহারের মাধ্যমে ইতিবাচক শক্তির প্রবাহ নিশ্চিত করাই এর উদ্দেশ্য।
শয়নকক্ষের জন্য বাস্তু টিপস
১. শোওয়ার ঘরের অবস্থান: স্বামী-স্ত্রীর শয়নকক্ষ বাড়ির দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে থাকা সবচেয়ে শুভ বলে মনে করা হয়। এই দিক স্থিতিশীলতা, বন্ধন এবং বিশ্বাস বৃদ্ধি করে। উত্তর-পূর্ব এবং দক্ষিণ-পূর্ব দিকের বেডরুম এড়িয়ে চলা উচিত, কারণ এগুলি সম্পর্কে সমস্যা বা বিতর্কের জন্ম দিতে পারে।
২. বিছানার অবস্থান: বিছানা সবসময় ঘরের দক্ষিণ বা পশ্চিম দেওয়াল ঘেঁষে এমনভাবে রাখবেন যাতে ঘুমানোর সময় মাথা দক্ষিণ দিকে থাকে। উত্তর দিকে মাথা রেখে ঘুমানো উচিত নয়, এটি সম্পর্কের ক্ষেত্রে উত্তেজনা বাড়াতে পারে। বিছানা যেন ঘরের মূল দরজার সোজাসুজি না থাকে। ধাতব বিছানা ব্যবহার করা এড়িয়ে চলুন, কাঠের বিছানা শুভ বলে মনে করা হয়।
৩. গদি এবং ঘুমের স্থান: ডাবল বেডে সব সময় একটি মাত্র গদি ব্যবহার করুন। দুটি আলাদা গদি ব্যবহার করলে সম্পর্কের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হতে পারে। স্ত্রীর অবস্থান: বাস্তু মতে, স্ত্রী সবসময় স্বামীর বাম দিকে ঘুমালে সম্পর্ক মজবুত হয়।
আরও পড়ুন - কালীপুজো ২০২৫ সালে ২০ না ২১ অক্টোবর? কবে কখন শুরু অমাবস্যা? জানুন পুজোর শুভক্ষণ
আরও পড়ুন - ধনতেরাসের দিন অবশ্যই করুন এই ৭ কাজ, অন্যথায় রুষ্ট হন মা লক্ষ্মী
৪. দেয়ালের রং: বেডরুমের জন্য হালকা এবং প্রশান্তিদায়ক রং যেমন: হালকা গোলাপী, হালকা হলুদ, ক্রিম বা বেইজ ব্যবহার করুন। এই রংগুলি সম্পর্কের উষ্ণতা ও শান্তি বজায় রাখে। গাঢ় বা খুব উজ্জ্বল রং ব্যবহার করা উচিত নয়, কারণ এগুলি উত্তেজনা বাড়াতে পারে।
৫. আয়না: শয়নকক্ষে এমনভাবে আয়না রাখবেন না, যাতে ঘুমানোর সময় বিছানা বা দম্পতির প্রতিচ্ছবি সরাসরি আয়নায় দেখা যায়। এটি সম্পর্কের মধ্যে উত্তেজনা ও ভুল বোঝাবুঝি বাড়াতে পারে। যদি আয়না সরাতে না পারেন, তবে রাতে ঘুমানোর সময় এটিকে কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখুন।
পাঠকদের প্রতি: প্রতিবেদনটি জ্যোতিষশাস্ত্রের গণনার ভিত্তিতে লেখা হয়েছে। এখানে লেখা সব কথা আগামী দিনে সত্য প্রমাণিত হবে, এমন দাবি করা হচ্ছে না। জ্যোতিষশাস্ত্র সংক্রান্ত কোনও প্রশ্ন বা কোনও সমস্যার সমাধানের জন্য পেশাদার জ্যোতিষীর সঙ্গে আলোচনা করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।