২০২২ সালের দুর্গাপুজোর আরাধনা পর্বের শেষ দশমী দিয়ে। এমন দিনে মন ভারাক্রান্ত থাকলেও, যথা সময়ে তিথি মেনে বিদায় জানাতে হয় উমাকে। ‘আবার এসো মা’র আর্জি নিয়ে দেবী দুর্গাকে বরণ করে সিঁদুর খেলা শুরু হয় বনেদি বাড়ি থেকে পাড়ার প্যান্ডেলগুলিতে। শাস্ত্র মতে বলা হচ্ছে, এমন এক দিনে আলাদা করে সৌভাগ্য জাগ্রত হতে পারে যদি কয়েকটি টোটকা মেনে চলা যায়।
মকর, কুম্ভ, ধনু, মিথুন, তুলা রাশির জাতক জাতিকাদের জীবনে আলাদা করে তাৎপর্যবাহী দশমীর দিনটি। এমন দিনে এই সমস্ত রাশির জাতকদের জন্য কিছু টিপস দেওয়া হচ্ছে শাস্ত্রজ্ঞদের তরফে। বলা হচ্ছে, যদি শমী বৃক্ষ এমন দিনে বাড়িতে রোপন করতে পারেন, এঁরা, তাহলে আর্থিক থেকে কেরিয়ারের ভাগ্য খুলে যাবে। দেখে নেওয়া যাক কিছু টিপস।
-কথিত আছে যে লঙ্কাপতি রাবণ যখন সীতাকে অপহরণ করেন, তখন শ্রীরামচন্দ্র শমী গাছের সামনে প্রণাম করেন এবং তাঁর নিজের বিজয় কামনা করেন। সেই অর্থে বলা হয় দশেরায় যেহেতু রাবণ দহন হয়, তাই এই দিনে শমী গাছের পাতা স্পর্শ করা শুভ।
-সব কষ্ট দূর হয় শমী গাছের দ্বারা। শমী গাছও শনির সাথে সম্পর্কিত। কথিত আছে, শনিদেবকে শমী পাতা নিবেদন করলে তিনি খুশি হন। দশেরা তথা দশমীর দিন শনির সাড়েসাতি এবং শনির ঢাইয়ার জন্য শমী গাছের পূজা করা হয়।
-কথিত আছে, যে শনির সাড়েসাতি এবং ঢাইয়ার কবলে যাঁরা রয়েছেন তাঁরা শনিবার বা দশমীর দিনে বাড়িতে শমীর গাছ লাগাতে পারেন। এই দিনে এই গাছটি লাগালে শনিদেব প্রসন্ন হন এবং মকর, কুম্ভ, ধনু, মিথুন, তুলা রাশির জাতক জাতিকারা শনির সাড়েসাতি ও ঢাইয়ার প্রভাব থেকে মুক্তি পাবেন।
-দশমীর দিনে সকালে স্নান করে শুদ্ধ বস্ত্র পরে শমী গাছ রোপন অত্যন্ত শুভ ফল দায়ী।
-বলা হয়, শনিবার বা দশমীর দিন শমী গাছ রোপন করলে সংসার ফুলে ফেঁপে ওঠে অর্থ সম্পত্তি আয়ের দিক থেকে।
(এই তথ্য প্রচলিত মান্যতা নির্ভর। হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা এটি নিশ্চিত করে না।)