বিশ্বকর্মা পূজা বা বিশ্বকর্মা জয়ন্তী ভগবান বিশ্বকর্মার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে পালিত হয়। ঋগ্বেদে তার উল্লেখ আছে। বিশ্বাস করা হয় যে ভগবান বিশ্বকর্মা দেবতাদের ইমারত ও প্রাসাদ নির্মাণ করেছিলেন। পুরাণ অনুসারে, ভগবান বিশ্বকর্মাকে ঈশ্বর ছুতার নামেও ডাকা হয়। এই দিনে যে পুজো করে, তার ব্যবসা ভালো চলে।
হিন্দু ধর্মের বিশ্বাস অনুসারে, ভগবান বিশ্বকর্মা সমগ্র বিশ্বের প্রথম প্রকৌশলী হওয়ার মর্যাদা পেয়েছেন। এই দিনে লোকেরা তাদের ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধির জন্য কলকারখানা, অফিস বা শিল্পে ব্যবহৃত বড় মেশিনের যথাযথ পূজা করে। তাই আপনিও যদি আপনার ব্যবসাকে উচ্চতায় নিয়ে যেতে চান, তাহলে এই পদ্ধতিতে রাশি অনুযায়ী ভগবান বিশ্বকর্মার পূজা করতে ভুলবেন না।
ব্যবসা বাড়াতে এই রাশির জাতক জাতিকাদের উচিত এইভাবে পুজো করা উচিত।
মেষ: আপনার রাশি যদি মেষ হয় এবং আপনার অধিপতি মঙ্গল হয়, তাহলে এই দিনে পূজা করার সময় জাফরান রঙের পোশাক পরতে ভুলবেন না।
বৃষ: এই রাশির জাতকদের পূজা করার সময় শ্রী কুবের জির মালা জপ করা উচিত বিশ্বকর্মা পূজার সঙ্গে।
মিথুন: বিশ্বকর্মা পূজার জন্য তৈরি রঙ্গোলিতে সবুজ রং ব্যবহার করুন।
কর্কট: বিশ্বকর্মা পুজোর পর গরিবদের সাদা রঙের বস্ত্র দান করুন। এর দ্বারা আপনি শিবের আশীর্বাদও পাবেন।
সিংহ : এই দিনে সূর্য দেবকে জল নিবেদন করলে জীবন শুভ হবে। জলে রোলি, লাল ফুল এবং গুড় দিতে ভুলবেন না। তারপর বিশ্বকর্মা পূজা করুন।
কন্যা রাশি: আপনি যদি আপনার কাজ বাড়াতে চান বা নতুন চাকরি শুরু করতে চান, তাহলে বিশ্বকর্মার পূজা করতে ভুলবেন না।
তুলা: এই দিনে বিশ্বকর্মার পূজা করে বিশেষ উপকার পাবেন।
বৃশ্চিক: ব্যবসার পাশাপাশি আজ আপনি বিদেশের ব্যবসায়ও লাভবান হবেন। পূজার সময় একটি লাল রঙের রঙ্গোলিতে কলশ রাখুন।
ধনু: এই দিনে শ্রী গণেশ, মহাদেব ও গৌরীকে বস্ত্র নিবেদন করলে বিশ্বকর্মা পূজার পূর্ণ সুফল পাওয়া যাবে।
মকর: বিশ্বকর্মা পূজার পর কারখানার সমস্ত সরঞ্জাম গায়ত্রী মন্ত্র দিয়ে শুদ্ধ করতে হবে।
কুম্ভ: ভগবান বিশ্বকর্মাকে পারিজাত ফুল অর্পণ করুন। এতে করে নেতিবাচক শক্তি নষ্ট হয়ে যায়।
মীন রাশি: বিশ্বকর্মা পূজার পাশাপাশি অবশ্যই শ্রী নারায়ণের আশীর্বাদ নিতে হবে।