ভাদ্র মাসের পূর্ণিমা থেকে আশ্বিন মাসের আমাবস্যা পর্যন্ত সময়কালকে বলা হয়ে থাকে পিতৃপক্ষ। বিশ্বাস করা হয় যে এই দিনগুলোতে পূর্বপুরুষরা পৃথিবীতে আসেন, তাদের আত্মীয় পরিজনরা যখন তাদের দিল জল দেয় তাদের নামে দান করে তাদের এই সময়ে পুজো করে তখন তারা খুশি হয় এবং তাদের আশীর্বাদ প্রদান করে।
পিতৃপুরুষকে খুশি করা খুবই দরকার কারণ পৃথিবী পুরুষ খুশী হলে জীবনের অনেক বাধা আপনাআপনি কেটে যায়। বাস্তু নিয়ম অনুসারে শ্রাদ্ধ পক্ষীর কিছু জিনিস অবশ্যই মেনে চলা উচিত আসুন আমরা সেগুলি সম্পর্কে জেনে নিই বিস্তারিতভাবে।
বাস্তু অনুসারে দক্ষিণ দিককে বলা হয় থাকে পূর্বপুরুষের দিক। বলা হয়ে থাকে পিতৃপুরুষরা দক্ষিণ দিকে থাকেন, তাই তাদের জন্য যে বিশেষ পুজোর আয়োজন করা হয় বা তর্পনের আয়োজন করা হয় সেটা দক্ষিণ দিকে করা হয়ে থাকে। তাই পিতৃ পুরুষের পুজোর জন্য দক্ষিণ দিক সবসময় পরিষ্কার রাখুন।
দক্ষিণ দিকের ঘরের দেয়াল সব সময় হালকা হলুদ, গোলাপি সবুজ করা উচিত।তর্পণের সময় যিনি তর্পণ করছেন তার মুখ সবসময় দক্ষিণ দিকে থাকা উচিত।বাস্তু মতে পূর্বপুরুষের ছবির জন্য দক্ষিণ দিককে শুভ বলে মনে করা হয়। তবে পূর্বপুরুষের ছবি কখনো শোয়ার ঘর বা পূজার ঘরে বা খাওয়ার ঘরে রাখবেন না।পিতৃপক্ষের সময় কিন্তু চুল কাটা উচিত নয়। এই সময় চুল কাটা কে নিষিদ্ধ বলে মনে করা হয়। এছাড়াও শ্রাদ্ধপক্ষ বা পিতৃপক্ষের সময় বাড়িতে নতুন কোন কাজ বা শুভ কাজের আয়োজন ও করা উচিত নয়। পিতৃপক্ষের সময় বাড়ির প্রধান দরজা প্রত্যেকদিন জল দিয়ে ধুয়ে সাদা ফুল রাখতে হয়। সেখানে সন্ধ্যায় দক্ষিণ দিকে প্রদীপ জ্বালাতে হবে। যদি এই সময় কোন অভাবী বা কোন পশু বা গরু আপনার দরজায় আসে তাহলে তাকে অবশ্যই কিছু খেতে দিন।
পিতৃপক্ষের সময় এই জিনিসগুলো বিশেষভাবে একটু নজর রাখা উচিত। এগুলোকে যদি আমরা মেনে চলি তাহলে অবশ্যই পুরুষের আশীর্বাদ পাওয়া সম্ভব। আরপিতে পুরুষের আশীর্বাদ জীবনের কি কোন বাধাকে সহজে অতিক্রান্ত করতে সহায়তা করে। যদি কারো জন্য কুণ্ডলীতে পিতৃ দোষ থেকেও থাকে তাহলেও পিতৃপক্ষের সময় বিশেষ পুজো বা দান আপনাকে পিতৃ দোষ থেকে মুক্তি দিতে পারে।