ভাদ্রপদ মাসের শুক্লপক্ষের অষ্টমী তিথি থেকে শুরু হয় মহালক্ষ্মী ব্রত। মা লক্ষ্মীকে উৎসর্গ করা এই উৎসব। ১৬ দিন ধরে পালন করা হয় এই উত্সব। এই ১৬ দিন উপোস রেখে নিয়ম অনুসারে মায়ের আরাধনা করা হয়।এই ব্রতের প্রভাবে দারিদ্র্য দূর হয় এবং সুখ-সমৃদ্ধি বৃদ্ধি পায়। এই ব্রত অবারিত সৌভাগ্য দান করে।
মহালক্ষ্মী ব্রতের মাহাত্ম্য ভগবান শ্রীকৃষ্ণ পাণ্ডবদের বলেছিলেন। পাশা খেলায় কৌরবদের কাছে পাণ্ডবরা পরাজিত হলে ধর্মরাজ যুধিষ্ঠির ভগবান শ্রীকৃষ্ণকে অর্থ লাভের উপায় জিজ্ঞেস করেন। ভগবান শ্রীকৃষ্ণ তাকে মহালক্ষ্মী উপবাস পালনের পরামর্শ দেন। এই উপবাস পালন করলে মা লক্ষ্মী প্রসন্ন হন এবং আর্থিক সমস্যা দূর করেন।
এই ব্রতে সন্ধ্যায় পূজা করা হয়। সন্ধ্যায় স্নানের পর পূজার স্থানে লাল রঙের কাপড় বিছিয়ে দিন। কেশরের সাথে মিশ্রিত চন্দন থেকে একটি অষ্টভুজ তৈরি করুন এবং জলে ভরা একটি কলস রাখুন। কলসের কাছে হলুদ দিয়ে একটি পদ্ম তৈরি করুন এবং মায়ের মূর্তি রাখুন। পূজার স্থানে দেবী লক্ষ্মীর মূর্তির সামনে শ্রী যন্ত্র রাখুন। পদ্ম ফুল দিয়ে মায়ের পুজো করুন। দেবী লক্ষ্মীর আশীর্বাদ পেতে মায়ের পায়ে পদ্মফুল অর্পণ করুন। বাতাসা, শাঁখা, পদ্মের বীজ, শঙ্খ, মাখন ইত্যাদি নিবেদন করুন মাকে।
এই উপবাসে দেবী মহালক্ষ্মীর আটটি রূপের পূজা করা হয়। এই ব্রতের প্রভাবে অর্থের কোনো অভাব হয় না। সাফল্য, খ্যাতি ও ঐশ্বর্য অর্জিত হয়। ১৬ দিন উপবাসের নিয়ম। ১৬ দিন ব্রত রাখতে না পারলে প্রথম তিন দিন বা শেষ তিন দিন ব্রত রাখতে পারেন।
( উপরোক্ত তথ্য ধর্মীয় আস্থা ও লৌকিক মান্যতার উপর আধারিত )