শালিক পাখিকে ভারতীয় ময়না বলা হয়ে থাকে। গ্রাম শহর মফস্বল যেকোনো জায়গাতেই আমরাই শালিক পাখি দেখে থাকি। কিন্তু এক শালিক দেখলে মানুষ মনে করে তার দিন খারাপ যাবে দুই শালিক বা জোড়া শালিক দেখলে মানুষ মনে করে তার দিন ভালো যাবে, কিন্তু এর পিছনে রয়েছে বিশেষ কিছু মান্যতা। চলুন দেখে নেওয়া যাক।
আমরা সব সময় জোড়া জিনিসকে শুভ মানি আর জোড়া বিহীন জিনিসকে অশুভ মনে করি। তাই বাড়ির দরজায় পুজোর আগে বা কোন মাঙ্গলিক অনুষ্ঠানের আগে জোড়া কলা গাছ পুঁতি। ঘরে কোন পাখির মূর্তি রাখলে সেটা জোড়াই রাখার চেষ্টা করি। জোড়া শালিক দেখা শুভ কিন্তু এই জোড়া বলতে দুটো শালিক কে বোঝানো হচ্ছে না,এই জোড়া বলতে একটি পুরুষ এবং একটি স্ত্রী শালিককে বোঝানো হচ্ছে। কিন্তু আমরা অনেকেই জানি না যে শালিকের প্রকারভেদ কিরকম তাই শালিক দেখেও বুঝতে পারি না যে সেটা জোড়া অর্থাৎ পুরুষ ও স্ত্রী শালিক নাকি দুটোই পুরুষ অথবা স্ত্রী শালিক। আর ছোট থেকে চলে আসা এই ধরনের চিন্তাভাবনা আমাদের মনকে বিশেষভাবে প্রভাবিত করে। তাই আমরা কোন একটা জিনিস দেখলে বা ছোট থেকে শুনে আসলে তার তো একটা প্রভাব পড়েই আমাদের মনের উপর। গোমতী চক্র ঘরে রাখলে কোন কোন উপকার পাওয়া যায়? লক্ষ্মীর আরাধনায় এর গুরুত্ব একনজর
একটা শালিক দেখলে আমরা মনে করি যে আদতে দিন বোধহয় খারাপ যাবে। তবে মানুষ এটা থেকেও বাঁচার রাস্তা বের করেছে। অনেকেই বলে এক শালিক দেখলে সঙ্গে সঙ্গে কলাগাছ দেখে নিলে তার নাকি খারাপ প্রভাব পড়ে না, অনেকে আবার বলে এক শালিক যদি চার পাঁচজন একসঙ্গে বা একই সময়ে দেখে তাহলে তার খারাপ প্রভাব আর থাকে না। আসলে সবটাই মানসিকতার উপর নির্ভর করছে। মানুষ যে কাজটা করতে যাচ্ছে সেটা করার আগে সে যদি মনে করে যে আমি আমার ১০০ শতাংশ দিয়ে কাজটা করব তাহলে অবশ্যই সে কাজে সফল হবে, কিন্তু সে যদি মনে করে যে আমি এক শালিক দেখার জন্য আমার দিন সত্যিই খুব খারাপ যাবে এবং এটা ভেবে সে কাজটা করতে যায় তাহলে তার সাথে সাথে একটা নেগেটিভ চিন্তাও তার সঙ্গে করে নিয়ে যাচ্ছে, ফলে কাজটি ভালোভাবে সম্পন্ন হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায় আর আমরা মনে করে থাকি যে, এক শালিক দেখার জন্যই বোধিহয় কাজটা হলো না। তাই নিজের উপর ভরসা রাখুন, আত্মবিশ্বাসে ভরপুর থাকুন অবশ্যই সফল হবেন ৷
( উপরোক্ত তথ্যে এটা কখনই দাবি করা হচ্ছে না যে এটা পূর্ণত সত্য এবং সঠিক ৷ এই তথ্য ধর্মীয় আস্থা ও লৌকিক মান্যতার উপর আধারিত )