যোগিনী একাদশীর দিন ভগবান শ্রী নারায়ণের পূজা করা হয়। শ্রী নারায়ণ ভগবান বিষ্ণুর নাম। এই একাদশী উপবাস করলে সমস্ত পাপ নাশ হয় এবং পিপল গাছ কাটার মতো পাপ থেকেও মুক্তি পাওয়া যায, কারো দেওয়া অভিশাপও দূর হয়। এই একাদশী শরীরের যাবতীয় ব্যাধি নাশ করে সুন্দর রূপ, গুণ ও খ্যাতি দেয়।
যোগিনী একাদশী ব্রত পূজা পদ্ধতি
এই একাদশীর উপবাস খুবই ফলদায়ক। এই ব্রতর পদ্ধতি নিম্নরূপ:
1. এই ব্রতর নিয়ম এক দিন আগে শুরু হয়। দশমী তিথির রাতে যব, গম এবং মুগ ডাল দিয়ে তৈরি খাবার গ্রহণ করা উচিত নয়।
2. অন্যদিকে, ব্রতর দিনে লবণযুক্ত খাবার গ্রহণ করা উচিত নয়, তাই দশমীর রাতে লবণ খাওয়া উচিত নয়।
3. একাদশীর দিন সকালে স্নান ইত্যাদি করে উপবাসের সংকল্প হয়।
4. এর পরে কলশ প্রতিষ্ঠা করা হয়, ভগবান বিষ্ণুর মূর্তিটি কলশের উপরে স্থাপন করা হয় এবং পূজা করা হয়। ব্রতর রাতে জাগরণ করতে হবে।
5. এই ব্রত দশমী তিথির রাত থেকে শুরু হয় এবং দ্বাদশী তিথির সকালে দাতব্য কাজ শেষে শেষ হয়।
যোগিনী একাদশীর তাৎপর্য
যোগিনী একাদশীর উপবাস জীবনে সমৃদ্ধি ও সুখ নিয়ে আসে। এই ব্রত তিন জগতেই বিখ্যাত। মনে করা হয় যোগিনী একাদশী উপবাস পালন করলে ৮৮ হাজার ব্রাহ্মণ অন্ন প্রদানের সমান পুণ্য লাভ করেন।
যোগিনী একাদশী ব্রতের গল্প
প্রাচীনকালে অলকাপুরী শহরে রাজা কুবেরের বাড়িতে হেম নামে এক মালী বাস করতেন। তাঁর কাজ ছিল ভগবান শঙ্করের পূজার জন্য প্রতিদিন মানসরোবর থেকে ফুল আনা। একদিন সে ফুল আনতে দেরি করেছিল। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে কুবের তাকে কুষ্ঠরোগী হওয়ার অভিশাপ দেন। অভিশাপের প্রভাবে সে এদিক ওদিক ঘুরে বেড়াতে থাকেন এবংভগবানের কৃপায় একদিন মার্কণ্ডেয় ঋষির আশ্রমে পৌঁছে যান। ঋষি তার যোগ শক্তিতে তার অসুখের কারণ জানতে পারলেন। তারপর তিনি তাকে যোগিনী একাদশীর উপবাস পালন করতে বলেন। উপবাসের প্রভাবে মালীর কুষ্ঠরোগ দূর হয়, তিনি মোক্ষ লাভ করেন।
যোগিনী একাদশী ব্রত মুহুর্ত
বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত পঞ্জিকা অনুসারে ২৩ জুন বৃহস্পতিবার রাত ৯টা ৪১ মিনিট হইতে ২৪ জুন শুক্রবার রাত ১১ টা ১২ মিনিট পর্যন্ত।
( উপরোক্ত তথ্যে এটা কখনই দাবি করা হচ্ছে না যে এটা পূর্ণত সত্য এবং সঠিক ৷ এই তথ্য ধর্মীয় আস্থা ও লৌকিক মান্যতার উপর আধারিত)