দেশের নিরাপত্তায় তাঁদের অবদানের জন্য পুলিশ অফিসার ও পুলিশ কর্মীদের জন্য ঘোষিত হয়েছে রাষ্ট্রপতি পদক। পশ্চিমবঙ্গ থেকে ২জন আইপিএস সহ মোট ২২ জন পুলিশ অফিসার ও কর্মীকে এই রাষ্ট্রপতি পদকে সম্মানিত করা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ থেকে দুই প্রমোটি আইপিএস অফিসার এই পদকে সম্মানিত হচ্ছেন। মালদা রেঞ্জের আইজি দীপনারায়ণ গোস্বামী ও কোচবিহারের পুলিশ সুপার দ্যুতিমান ভট্টাচার্যকে ২০২৫ সালে রাষ্ট্রপতি পুরস্কারে ভূষিত করা হয়েছে। এছাড়াও বাংলা থেকে আরও ২০ জন পুলিশ কর্মী ও অফিসারকে এই সম্মান দেওয়া হচ্ছে।
‘ডিসটিংগুইশড সার্ভিস’ বা অসামান্য অবদান ও ‘মেরিটোরিয়াস সার্ভিস’ বা উল্লেখযোগ্য অবদানের জন্য আইপিএস দীপনারায়ণ গোস্বামী ও দ্যুতিমান ভট্টাচার্যকে এই রাষ্ট্রপতি পুরস্কারে ভূষিত করা হল।
পোর্শে কাণ্ডের তদন্তকারী অফিসার পাচ্ছেন পদক:-
এদিকে, প্রজাতন্ত্র দিবসের প্রাক্কালে ঘোষিত হয়েছে এই রাষ্ট্রপতি পদকের তালিকা। সেই তালিকায় রয়েছেন পুণের প্রাক্তন সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসিপি) সুনীল তাম্বে। উল্লেখ্য, পুনের পোর্শে কাণ্ডে তদন্তকারী অফিসার ছিলেন তাম্বে, তাঁকে সম্মানিত করা হল দেশের তরফে। জানা যাচ্ছে, সুনীল তাম্বে বর্তমানে পুনের রাজ্য কারাগার বিভাগে ডেপুটি সুপারিনটেনডেন্ট অফ পুলিশ (ভিজিল্যান্স অফিসার) হিসাবে নিযুক্ত রয়েছেন। মহারাষ্ট্রের এই অফিসার এসিপি (অপরাধ) থাকাকালীন পোর্শে দুর্ঘটনার তদন্ত করেছিলেন। সেই মামলার তদন্তে ১৭ বছর বয়সি গাড়ির চালকের বাবা-মা, সাসুন জেনারেল হাসপাতালের তিন কর্মী এবং দুজন মধ্যস্থতাকারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এছাড়াও গ্যাংস্টার শারদ মোহলের হত্যাকাণ্ডেও তদন্ত করেছিলেন তাম্বে।
নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে থাকা সিট প্রধানও পাচ্ছেন পদক:-
২০০৬ ব্যাচের হরিয়ানা ক্যাডারের আইপিএস অফিসার অশ্বিন আনন্দ সানভি এবারের রাষ্ট্রপতি পুরস্কার প্রাপকদের তালিকায়। উল্লেখ্য, ২০২২ সালে নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে তৈরি হয়েছিল সিট। সিটের প্রধান হিসাবে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নিয়োগ করেন অশ্বিনকে। তিনি দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে রাজ্যে একের পর এক গ্রেফতারি দেখা যায়। সেই মামলায় সিবিআই পর পর গ্রেফতারি চালায়। গ্রেফতার হয়েছিলেন রাজ্যের তৎকালীন শিক্ষা মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।