বকেয়া ডিএ সংক্রান্ত মামলায় শিক্ষরা অন্তর্ভুক্ত নন ... more
বকেয়া ডিএ সংক্রান্ত মামলায় শিক্ষরা অন্তর্ভুক্ত নন বলে দাবি রাজ্য সরকারের। এই আবহে বকেয়া ডিএ-র দাবিতে আন্দোলন আরও জোরদার করতে চলেছে শিক্ষক সংগঠনগুলি। এরই আভাস মিলল গতকাল সোমবার।
1/6কয়েকদিন আগেই সরকারি কর্মীদের বকেয়া ডিএ-র দাবিতে বিধানসভা অভিযানে ধুন্ধুমার কাণ্ড বেঁধেছিল। এবার নিখিলবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির ডাকে গতকাল উত্তরকন্যা অভিযানে নামেন উত্তরবঙ্গের ৭টি জেলা থেকে শিক্ষক শিক্ষিকারা।
2/6প্রসঙ্গত, হলফনামা অনুযায়ী, আনুমানিক ৩,১৯,৭৫৯ জন সরকারি কর্মীকে কেন্দ্রীয় সরকারি হারে মহার্ঘ ভাতা দেওয়া নিয়ে মামলা চলছে। অর্থাৎ, শিক্ষক, রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগম, পুরসভার কর্মীদের ডিএ মামলায় অন্তর্ভুক্ত করার কথা বলা হয়নি। এর অর্থ, আদালতের নির্দেশে সরকারি কর্মীদের যদি রাজ্য বকেয়া ডিএ দিতে বাধ্যও হয়, সেখানে তাদের পকেটে টাকা ঢুকবে না। নতুন করে আইনি লড়াইতে নামতে হতে হবে তাঁদের।
3/6এই আবহে নিখিল বঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির বক্তব্য, ‘ডিএ মামলায় আমরা বহুবার প্রতিবাদ সভা করেছি, কিন্তু তাতে কোনও লাভ হয়নি। তাই এবার বকেয়া সহ ৩৫ শতাংশ ডিএ দাবিতে উত্তরকন্যা অভিযানের ডাক দেওয়া হয়। গত ২৩ তারিখ কলকাতায়, আমরা বিধানসভা অভিযান করেছিলাম। আগামীতে প্রতিটি রাজ্যে, প্রতিটি জেলায় এরকম প্রতিবাদ মিছিল চলবে।’
4/6বাম শিক্ষক সংগঠন নিখিলবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির অভিযোগ, শিক্ষকদের অধিকার খর্ব করতে চাইছে রাজ্য সরকার। উল্লেখ্য, বর্তমানে রাজ্যে প্রাথমিক ও হাইস্কুল মিলিয়ে শুধু শিক্ষক সংখ্যাই চার লক্ষের কিছু বেশি। কর্মরত ও পেনশনার মিলিয়ে বর্তমানে মহার্ঘ ভাতা প্রাপকের সংখ্যা প্রায় দশ লক্ষ। এই আবহে কেন্দ্রীয় হারে ডিএ দেওয়ার মামলার অংশ হিসেবেই ১০ লক্ষ শিক্ষককে গণ্য করছে না সরকার।
5/6এদিকে কনফেডারেশন অফ স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজের সাধারণ সম্পাদক জানিয়েছেন, আগামী ৫ ডিসেম্বর সুপ্রিম কোর্টে ডিএ মামলা উঠবে। সেদিন শুনানি হবে। এদিকে হাই কোর্টে আদালত অবমাননার মামলার খাঁড়াও ঝুলছে রাজ্য সরকারের মাথার ওপর। এই মামলা দায়ের করেছে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের তিনটি সংগঠন। সেই মামলায় হলফনামা পেশ করে নবান্ন। ৩০ নভেম্বর সেই মামলার শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।
6/6২০১৬ সালে প্রাথমিকভাবে ডিএ নিয়ে আইনি লড়াই শুরু হয়েছিল। যা এখনও চলছে। চলতি বছর ২০ মে কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল, তিন মাসের মধ্যে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বকেয়া ডিএ মিটিয়ে দিতে হবে। যে সময়সীমা শেষ হওয়ার আগে অবশ্য রাজ্য সরকারের বকেয়া ডিএ মিটিয়ে দেওয়া হয়নি।