আরজি কর কাণ্ড ঘিরে ক্ষোভে উত্তাল বাংলা। তারই মাঝে ১২ সেপ্টেম্বর, বৃহস্পতিবার রাজ্যের সমস্ত মেডিক্য়াল কলেজ ও হাসপাতালের প্রিন্সিপাল ও ডিরেক্টরদের নিয়ে বৈঠকে বসার কথা ছিল রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তবে নবান্ন থেকে দেওয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে সেই বৈঠক পিছিয়ে গিয়েছে।
১২ সেপ্টেম্বর ওই বৈঠক নবান্নের সভাঘরে দুপুর নাগাদ হওয়ার কথা ছিল। তবে তা হচ্ছে না। সেকথা নবান্নের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হয়েছে। এক মিডিয়া রিপোর্টে সূত্র উল্লেখ করে দাবি করা হয়েছে, ওই বৈঠক হতে পারে পরের সপ্তাহে। প্রশ্ন উঠছে, আরজি কর আবহে জুনিয়ার ডাক্তারদের বর্তমান অবস্থানের জেরেই কি নবান্নের এই সিদ্ধান্ত? জানা গিয়েছে, নবান্নের ওই ১২ সেপ্টেম্বরের বৈঠকে হাজির থাকার কথা ছিল প্রশাসন ও পুলিশের তাবড় কর্তাদের। এমএসভিপি, সিএমওএইচ ছাড়াও ওই বৈঠকে জেলাশাসক, পুলিশ সুপার, কমিশনারেটের সিপিরও উপস্থিত থাকার কথা ছিল। মুখ্যমন্ত্রী নিজেই এই বৈঠক পৌরহিত্য করবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছিল নবান্ন। তবে সেই বৈঠক পিছিয়ে দেওয়ার কথা জানানো হয়েছে নবান্নের তরফে।
এদিকে, আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসাপাতালের অন্দরে তরুণী চিকিৎসকের মৃত্যুতে একের পর এক প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। তদন্তে নেমে দুর্নীতির অভিযোগে আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। এদিকে, স্বাস্থ্যভবন অভিযানে নেমে ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন জুনিয়ার ডাক্তাররা। তাঁদের সঙ্গে আলোচনায় বসার বারবার বার্তা আসছে নবান্ন থেকে। অন্যদিকে, ‘সু্প্রিম ’ ডেডলাইন পার হওয়ার পরও এখনও অবস্থানে অনড় জুনিয়ার চিকিৎসকরা। তাঁরা এখনও (রাত ৯ টার শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত) যোগ দেননি কাজে। আন্দোলনরত চিতিৎসক ও নবান্ন, দুই পক্ষের মধ্যেই বার্তা, পাল্টা বার্তা পাঠানো হয়েছে। এই বৈঠক আদৌ হতে পারে কি না তা নিয়ে রয়েছ সংশয়। গোটা বাংলা তাকিয়ে রয়েছে এই বৈঠকের সম্ভাবনা ঘিরে নানান খবরের দিকে। এদিকে এরই মাঝে গলি থেকে রাজপথে চলছে আরজি কর কাণ্ডের তীব্র প্রতিবাদ। বাংলা পেরিয়ে দেশ ও বিদেশে এই ঘটনার প্রতিবাদের আগুন ছড়িয়ে পড়েছে।