কসবাস সদ্য ১০৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষকে লক্ষ্য করে গুলি চালনার ঘটনায় বিহার থেকে সদ্য গ্রেফতার হয়েছে পাপ্পু গ্যাংয়ের আরও এক সদস্য লক্ষ্মণ। লালবাজার সূত্রে খবর, ধৃত লক্ষ্মণের সারা গায়ে মিলেছে আঘাতের চিহ্ন। সোমবার রাতেই তাকে বিহারের বৈশালী থেকে গ্রেফতার করা হয়। লক্ষ্মণের শরীরে থাকা আঘাতের চিহ্ন কীসের? উত্তর এল তা নিয়েও।
লক্ষ্মণকে নিয়ে এপর্যন্ত কাউন্সিলরকে গুলি করার চেষ্টার ঘটনায় ৫ জন গ্রেফতার হয়েছে। লালবাজারের প্রাথমিক অনুমান, এরা সকলেই বিহারের গ্যাংস্টার পাপ্পুর দলের সদস্য। ঘটনায় মাস্টারমাইন্ড গুলজার সহ শার্প শুটার যুবরাজ, এক ট্যাক্সি চালককে গ্রেফতার করা হয়েছে। জানা যায়, আনন্দপুর থআনা এলাকায় গুলশান কলোনি জমি সংক্রান্ত বিষয়ে সুশান্ত ঘোষ ও গুলজারের মধ্য়ে দ্বন্দ্ব বাধে, তার জেরেই সুশান্ত ঘোষকে হত্যার চেষ্টা বলে খবর। সম্প্রতি কসবার রাজডাঙ্গায় নিজের বাড়ির বাইরে তৃণমূল কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। কান ঘেষে কার্যত বেরিয়ে যায় মৃত্যু-বিপদ। এরপরই তদন্তে নামে লালবাজার। লালবাজার তদন্তে নেমেই একের পর এক গ্রেফতারি শুরু করে। এই খুনের চেষ্টার ঘটনায় যোগ মেলে বিহারের পাপ্পু গ্যাংয়ের। এরপর একাধিক গ্রেফতারির পর গ্রেফতার হয় লক্ষ্মণ।
জানা গিয়েছে, পাপ্পু গ্যাংয়ের সদস্য ধৃত লক্ষ্মণের গায়ে মিলেছে আঘাতের চিহ্ন। বিহারের বৈশালীর বাসিন্দা ধৃত লক্ষ্মণ জানিয়েছে, সেখান থেকেই তাকে গ্রেফতার করা হয়। তার শরীরের আঘাতের চিহ্ন নিয়ে লক্ষ্ণণ জানায়, দিন দুয়েক আগেই সে বাইক দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। সেই দুর্ঘটনার জেরেই তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন বলে জানায় লক্ষ্মণ। মনে করা হচ্ছে, দুর্ঘটনার ভয়ে ধরা পড়ার ভয়ে অভিযুক্ত বাড়িতেই ছিল। জানা গিয়েছে, সুশান্ত ঘোষকে টার্গেট করে গুলি চালানোর দিকে, যে স্কুটি চড়ে দুষ্কৃতীরা এসেছিল, সেই স্কুটি চালাচ্ছিল লক্ষ্মণ। কার সঙ্গে যোগাযোগ করে লক্ষ্মণ কলকাতায় আসে, সেই সূত্রটিও খুঁজে বের করার চেষ্টা করে যাচ্ছে পুলিশ। ঘটনায় আর কেউ জড়িত কিনা, তা নিয়েও চলছে তল্লাশি, তদন্ত।