পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জেল হওয়ার পর থেকে কলকাতা শহরের বুকে একাধিক হোর্ডিং পড়েছিল ‘নতুন তৃণমূল আসছে’ বলে। সেই হোর্ডিং-কে কেন্দ্র করে নানা জল্পনাও শুরু হয়েছিল। সেই হোর্ডেগুলিতে ছবি ব্যবহার করা হয়েছিল তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। রবিবার উত্তরবঙ্গে মালবাজারের সভা থেকে সেই নতুন তৃণমূল কী, কেন তার ব্যাখ্যা দিলেন অভিষেক।
প্রসঙ্গত, তিনি আগেরবার উত্তরবঙ্গে এসে নতুন তৃণমূলের কথা বলেন। এ বার সেই উত্তরবঙ্গে দাঁড়িয়েই তার ব্যাখ্যা করলেন অভিষেক। তিনি বলেন, ‘‘ গত ১২ জুলাই আমি নতুন তৃণমূলের কথা বলেছিলাম। এখন তা নিয়ে জলঘোলা হচ্ছে। আমি তো বলিনি নতুন তৃণমূল মানে পুরানো তৃণমূল বাদ নয়। জনগণ যে ভাবে দেখতে চাইছে তৃণমূলকে সেই ভাবে দলকে তৈরি করতে আমরা বদ্ধ পরিকর।’’
এ প্রসঙ্গে তিনি সম্প্রতি দলীয় পদে জেলাস্তরে রদবদলের প্রসঙ্গও তোলেন। অভিষেক বলেন, ‘‘আপনারা দেখেছেন কাদের ব্লক সভাপতি করা হয়েছে। আগামী দিনে পঞ্চায়েত ভোটেও দেখবেন বা শন্তিপূর্ণ অবাধ নির্বাচন হবে। বিরোধীরা তাদের কথা নিয়ে মানুষের কাছে যাবেন আমরা আমাদের কথা নিয়ে যাব।’’
তাঁর কথায়, ‘‘নতুন তৃণমূল সেই তৃণমূল যারা ২০১১ সালে বাংলার বুকে বসে থাকা ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির মতো সিপিএমকে সরিয়ে ক্ষমতায় এসেছিল। সেই তৃণমূলকে মানুষ দেখতে চায়।যারা আন্দোলন দাবিদাওয়া করে দিল্লির বুক থেকে শ্রমিকের অধিকারকে ফিরিয়ে আনতে বদ্ধ পরিকর।’’
তবে ভুল-ত্রুটি যে রয়েছে তা স্বীকার করে নিয়েই অভিষেক বলেন, ‘‘এত বড় একটা দলে ভুল-ক্রটি থাকতেই পারে। কিন্তু ভুল দল সংশোধন করছে কি না সেটা দেখতে হবে।’’ এ প্রসঙ্গে তিনি জানিয়ে দেন পার্থ-অনুব্রকে ধরার আগে থেকেই তিনি নতুন তৃণমূলের কথা বলে আসছেন। অভিষেক বলেন, ‘‘আমি যখন আগে এসেছিলাম তখন পার্থ চট্টোপাধ্যায় অনুব্রত মণ্ডলকে ইডি-সিবিআই ধরেনি। তখন আমি নতুন তৃণমূলের কথা বলে ছিলাম। ব্যক্তি স্বার্থে কেউ যদি দলকে ব্যবহার করে তবে দল তার পাশে থাকবে না।’’
নাম না করে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর দিকে ইঙ্গিত করে বিজেপিকে কটাক্ষ করেন তিনি। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘‘ যারা ইডি সিবিআইয়ের ভয়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে বিজেপি কী ব্যবস্থা নিয়েছে।’’