কাঁথির সভায় পৌঁছনোর আগে জাতীয় সড়কের ধারে মরিশা গ্রামে নেমে পড়েছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানকার মানুষদের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারেন তাঁদের দুরাবস্থার কথা। রেশন পেলেও সারাইয়ের অভাবে ভেঙে পড়ছে ঘর। সরকারি সাহায্যের জন্য পঞ্চায়েত দফতরে গেলেও পেলেনি সাহায্য। সব শুনে সভার উদ্দেশে রওনা দেন। পরে ক্ষুদ্ধ অভিষেক মঞ্চ থেকে কড়া ভাষায় নির্দেশ দেন, আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে মারিশা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান উপপ্রধান ও অঞ্চল সভাপতিকে পদত্যাগ করতে হবে।
মঞ্চে থেকে অভিষেক বলেন, ‘আমি হঠাৎ মাঝ পথে নেমে গিয়ে ১০টা বাড়িতে গেলাম। গিয়ে দেখলাম কী করুণ অবস্থা। বাড়িগুলো জরাজীর্ণ অবস্থায় রয়েছে। আমি জিজ্ঞাসা করলাম, আপনার আপনারা এলাকার সাংসদ, বিধায়ক কাছে গিয়েছে জানিয়েছেন, তাঁরা তো আপনাদের গ্রামের সামনে দিয়ে গাড়ি নিয়ে সব সময় যাতায়াত করেন। তাঁর বললেন, কখনও আমাদের দিকে মুখ তুলে চাননি তাঁরা। আপনি এই প্রথম এলেন।'
এর পর অভিষেক নির্দেশ দেন, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে মরিশদার পঞ্চায়েত প্রধান ঝুনুরানি মণ্ডল, উপপ্রধান রমাকৃষ্ণ মণ্ডল এবং অঞ্চল সভাপতি গৌতম মিশ্র ইস্তফা দেবেন। না দিলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
সভা মঞ্চ থেকে তিনি দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আগামী এক মাস প্রত্যেক নেতাদের দশটি করে গ্রামে যেতে হবে। মানুষের কথা শুনতে হবে। এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘যাঁরা ভাবছেন মানুষের কথা না শুনে শুনে পঞ্চায়েত চালাবেন তাঁদের হুঁশিয়ারি দেয় বলে যাচ্ছি। তাদের টিকিট দেওয়া তো দূরের কথা আমাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে প্রশাসন জেলে ঢোকাবে।’