বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > নাবালিকার ২৪ সপ্তাহ পর গর্ভপাত, মেডিক্যাল বোর্ডের রিপোর্ট দেখে সিদ্ধান্ত নেবে HC

নাবালিকার ২৪ সপ্তাহ পর গর্ভপাত, মেডিক্যাল বোর্ডের রিপোর্ট দেখে সিদ্ধান্ত নেবে HC

কলকাতা হাইকোর্ট। ছবি সৌজন্য : পিটিআই (PTI)

পূর্ব মেদিনীপুর জেলার চিফ মেডিক্যাল অফিসার এবং তাম্রলিপ্ত সরকারি মেডিক্যাল কলেজে সুপারকে নাবালিকার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার জন্য বোর্ড গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। বোর্ডের রিপোর্ট দেখে পরবর্তী নির্দেশ দেবেন তিনি।

ধর্ষিত নাবালিকার গর্ভপাত সংক্রান্ত মামলায় ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মেডিক্যাল বোর্ড গঠনের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে শিশু ও স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ-সহ চারটি বিভাগের দক্ষ চিকিৎসকেরা ওই নাবালিকার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে রিপোর্ট দেবেন। সোমবার আদালত খুললে প্রথমে মামলাটির শুনানি হবে বলে জানিছেন বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য।

পূর্ব মেদিনীপুর জেলার চিফ মেডিক্যাল অফিসার এবং তাম্রলিপ্ত সরকারি মেডিক্যাল কলেজে সুপারকে নাবালিকার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার জন্য বোর্ড গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। বোর্ডের রিপোর্ট দেখে পরবর্তী নির্দেশ দেবেন তিনি।

ধর্ষনের জেরে অন্তঃসত্বা হয়ে পড়ে পঞ্চম এক ছাত্রী। গর্ভবস্থার ২৪ সপ্তাহ পর বিষয়টি জানতে পারে বাবা-মা। তাঁরা গর্ভপাত করানোর অনুমতি চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন। তাকে শারীরিক নির্যাতনের সঙ্গে গণর্ধষণও করা হয় বলে অভিযোগ। গত মাসে চিকিৎসা করাতে গিয়ে বিষয়টি তাঁরা জানতে পারেন। তাঁর গর্ভপাত করানোর সিদ্ধান্ত নেন।

আইন অনুযায়ী, চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে ২০ সপ্তাহ সময় পর্যন্ত গর্ভপাত করানো যেতে পারে। বিশেষ পরিস্থিতিতে সেই সময়সীমা ২৪ সপ্তাহ পর্যন্ত বাড়ানো যেতে পারেন। কিন্তু তার চেয়ে বেশি সময় হলে আদালতের অনুমতি নিতে হয়। হাসপাতালে গর্ভপাত করাতে গেলে মেয়েটির বাবা-মাকে আদালতের অনুমতি নিতে বলে কর্তৃপক্ষ।

শুনানির সময় বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য নাবালিকার বয়স নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। নাবালিকার পরিবারের আইনজীবী আদালতে জানান, মেয়েটি স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে চায়। সন্তান জন্ম দেওয়ার মতো মানসিক অবস্থা তার নেই। নাবালিকার পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে আদালতের গর্ভপাতের অনুমতি চান তিনি। নাবালিকার পরিবারের আর্থিক অবস্থার কথাও জানান তিনি।

সব শুনে বিচারপতি বলেন, মেডিক্যাল টার্মিনেশন অফ প্রেগন্যান্সি আইনের (১৯৭১) ৩ নম্বর ধারা অনুযায়ী ২৪ সপ্তাহ পরে গর্ভপাতের ক্ষেত্রে কিছু বিধি নিষেধ রয়েছে। তা সত্বে নাবালিকার ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত আদালত। তা দেরি না করে দ্রুত এই নিয়ে নির্দেশ দিতে চান বিচারপতি।

বন্ধ করুন