সদ্য ত্রিপুরার খোয়াই জেলার সুভাষ পার্ক এলাকায় ৬ বাংলাদেশি নাগরিককে আটক করেছে পুলিশ। এলাকায় হাসপাতালের কাছের এক গেস্ট হাউসে তাঁরা থাকছিলেন। ধৃতদের মধ্যে নাবালকও রয়েছে। পুলিশ গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছে সন্দেহভাজনদের পরিচয়পত্র দেখতে চাইলে, তাঁরা বৈধ নথি দেখাতে পারেননি বলে অভিযোগ। তার জেরেই তাঁদের আরও জেরা করতে আটক করে পুলিশ। বিজেপি শাসিত ত্রিপুরার এই ঘটনা তুলে ধরে বাংলার স্বরূপনগর-হাকিমপুর সীমান্তে অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগ তুলে এক পোস্টে তৃণমূলের বিরুদ্ধে সরব হন বিধানসভায় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
শুভেন্দু তাঁর পোস্টে দাবি করেছেন, ত্রিপুরার ঘটনায় প্রাথমিক জেরার পর আটক হওয়া ব্যক্তিদের কথায় অসঙ্গতি দেখা যায়। পরে তাঁরা জেরায় স্বীকার করে নেন, তাঁরা অবৈধ অনুপ্রবেশ করেছেন। শুভেন্দু দাবি করেছেন, ধৃতরা পুলিশকে জানিয়েছেন, তাঁরা কয়েক মাস আগে ভারতে এসে সোজা দিল্লি চলে যান। সেখানে কাজের খোঁজ করতে থাকেন। অবৈধভাবে ভুয়ো আধার, প্যানকার্ড জোগাড়ও করে ফেলেন। পোস্টে বলা হচ্ছে এদিকে, দেশের রাজধানীতে অবৈধ উদ্বাস্তুদের বাড়বাড়ন্তের খবর দিল্লির লেফ্টন্যান্ট গভর্নর ভিকে সাক্সেনার দফতর পেতেই, তাঁর অফিস দিল্লির মুখ্যসচিব, পুলিশ কমিশনার সহ প্রশাসনের কর্তাদের জানায়। শুভেন্দুর পোস্টে লেখা রয়েছে,' লেফ্টন্যান্ট গভর্নরের অফিস দিল্লির পুলিশ প্রধানকে অবৈধ অভিবাসীদের শনাক্তকরণের জন্য এক মাসের জন্য একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করার কথা বলে এবং কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলির সাথে সমন্বয় করে আরও পদক্ষেপ নিতে বলা হয়।' এরপর পোস্টে লেখা রয়েছে,' এর পরে, অন্যান্য অনেক অবৈধ বাংলাদেশি এবং রোহিঙ্গাদের মতো যাঁরা শনাক্তকরণ এবং শেষ পর্যন্ত আটকের ভয়ে দেশের রাজধানী থেকে পালিয়েছিলেন, তাঁদের মতোই এই ৬ জন অবৈধ বাংলাদেশিও তাঁদের দেশে পাড়ি দেওয়ার জন্য ত্রিপুরায় ফিরে এসেছিলেন, কিন্তু ধরা পড়ে যান।' এবিষয়ে দিল্লির লেফ্টন্যান্ট গভর্নর ও দিল্লি পুলিশকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে তাঁর পোস্টে বার্তা দেন শুভেন্দু।
এরপরই তিনি পশ্চিমবঙ্গের স্বরূপনদগর-হাকিমপুর এলাকায় বাংলাদেশিদের অবৈধ অনুপ্রবেশ নিয়ে তাঁর পোস্টে তৃণমূল কংগ্রেসের দিকে তোপ দাগেন। শুভেন্দু লেখেন,' অন্যদিকে, পশ্চিমবঙ্গের স্বরূপনগর-হাকিমপুর বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকা থেকে ভিডিওটি দেখুন, যেখানে স্থানীয় তৃণমূল নেতারা প্রতিদিন কমপক্ষে ১০০ অনুপ্রবেশকারীর অবৈধ প্রবেশের সুবিধা দেন।' এই বিস্ফোরক দাবি করার সঙ্গে সঙ্গেই সীমান্তে বেড়া দেওয়া নিয়েও শুভেন্দু মমতা সরকারের দিকে তোপ দাগেন।
শুভেন্দু তাঁর পোস্টে লেখেন,' পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার স্বরূপনগরে বাংলাদেশের সাথে ৪২ কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে। ৩২ কিমি স্থলের সীমানা এবং ১০ কিমি নদীর সীমানা, যার সবকটিই বেড়বিহীন, কারণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সীমান্ত-বেড়ার জন্য প্রয়োজনীয় জমি প্রদান করতে অস্বীকার করেন।'