ভোজ্য তেল প্রস্তুতকারক কারখানার পাইপলাইনে ফুটো দিয়ে বেরিয়ে তেল গিয়ে মিশেছে পাশের একটি সরু খালে। সেই খালে তেল পড়ে একটি হলুদাভ আস্তরণ পড়ে যায়। পাইপলাইনে ফুটো হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। এরপরই ওই ‘তেল-খালে’ স্থানীয়রা নেমে পড়েন। কেউ বাটি, কেউ বালতি, কেউবা গামছা নিয়ে চলে আসেন। আধ কোমর জলের ওই খালে কার্যত ভিড় হয়ে যায়। সকলেই নিজের মতো করে তেল সঞ্চয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েন।
এই ঘটনার ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসতে শুরু করেছে। পুরু আস্তরণ পড়ে যাওয়া ওই জলাশয় যেন তেলের নদী! ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে, এলাকাবাসীরা সেখানে নেমে পড়েছেন। খালের পাশ ধরে ভিড়। অনেকেই বালতি, বাটি নিয়ে জলে নামছেন। কেউ গামছা ভাসিয়ে দিচ্ছেন ওই আস্তরণের খালে। সেই গামছা আবার নিঙড়ে সংগ্রহ করছেন তেল। এহেন দৃশ্যের ভিডিয়ো হু হু করে ভাইরাল হয়েছে।
এদিকে, ওই ভোজ্য তেল কর্তৃপক্ষের দাবি, রাতের অন্ধকারে তেল চুরি করার জন্যই ওই পাইপলাইনে ফুটো করা হয়েছে। তেল-চোররা এই কাজ করেছে বলে দাবি তাদের। এদিকে, তেলের পাইপলাইনে ফুটো হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। সংস্থার দাবি, প্রায় ১ কোটি টাকা মতো ক্ষতি হয়ে গিয়েছে এই তেলের নিঃসরণের ফলে। এই প্রথম নয়, এর আগেও, একাধিকবার ওই সংস্থার পাইলপাইনে ফুটো হয়। তখনও নেপথ্যে তেল চোরদের হাত ছিল বলে দাবি কার হয়। সংস্থার দাবি, পাইপলাইনের ভালভ খুলে নেওয়া হয়েছে। যদিও সেই অংশ পরে উদ্ধার হয়েছে বলে খবর।
সংস্থার তরফে দাবি করা হয়েছে, একাধিকবার এমন ধরনের ঘটনার অভিযোগ স্থানীয় থানায় জানানো হয়েছে। পুলিশ প্রশাসন নজরদারিও চালায়। তবে কিছুদিন পরই আবার সেই ঘটনা ঘটে যায়। প্রসঙ্গত, পাইপলাইন ফুটো করে এভাবে তেল চুরি বড়সড় বিপত্তি ডেকে আনতে পারে বলে আশঙ্কা। কারণ হলদিয়ায় বহু রাসায়নিক কারখানাও রয়েছে। পাইপলাইনে ফুটো করে চুরির প্রবণতার বাড়বাড়ন্ত হলে, তা বড়সড় বিপত্তির দিকে ঠেলতে পারে। রাসায়নিক কারখানাগুলিতে অ্যামোনিয়ার মতো দাহ্য পদার্থও রয়েছে। ফলে সেক্ষেত্রে বড় বিপত্তির আশঙ্কা থেকেই যায়য়।