পুজোর আগে রবিবরারে শপিং নয়! ৫১টি স্কুলের প্রাক্তনীরা আরজি করের বিচারের দাবিতে গেলেন গড়িয়াহাট থেকে রাসবিহারী

Updated: 09 Sep 2024, 09:48 AM IST Subhasmita Kanji

Meta: Mega Rally: পুজোর আগের রবিবারে কেনাকাটা নয়। গড়িয়াহাট টু রাসবিহারী গর্জে উঠল we want justice, we demand justice স্বরে। মহামিছিল এগোল দক্ষিণ কলকাতার প্রাণকেন্দ্র প্রায় স্তব্ধ করে দিয়ে।

1/9পুজোর আগের একটি রবিবার। হিসেব মতো বাজার বা শপিং মলগুলোতে ঠাসা ভিড়, কেনাকাটা চোখে পড়ার কথা ছিল। কিন্তু সেটা হল না। দিনটা যেন অন্যান্যবারের পুজোর আগের দিনের থেকে অনেকটাই আলাদা। একটা মেয়ের খুনের বিচার চেয়ে গোটা শহর যেন নেমে পড়েছে রাস্তায়। রবিবার, ৮ সেপ্টেম্বর গড়িয়াহাট চত্বর পুরো স্তব্ধ হয়ে যায়। ৫১ টি স্কুলের প্রাক্তনীদের মিছিল যে এখান থেকেই শুরু হয়েছিল।

2/9মিত্র ইনস্টিটিউশন, মাল্টিপারপাস স্কুল ফর গার্লস, চেতলা গার্লস, বিদ্যা ভারতী, সারদা, রমেশ মিত্র, সহ একাধিক স্কুল অংশ নিয়েছিল এদিন। চারিদিকে কেবল কালো মাথা আর দ্রুত বিচারের দাবিই দেখা বা শোনা যাচ্ছিল।

3/9সময় ঠিক ৪ টে। আর তখনই কথা মতো শুরু হল মিছিল। আকাশ বাতাস ছেয়ে গেল জাস্টিস স্বরে। যাঁরা কেনাকাটা করতে এসেছিলেন গড়িয়াহাটে তাঁরাও কেউ কেউ যোগ দিলেন মিছিলে । কেউ আবার রাস্তার পাশে দাঁড়িয়েই স্লোগান তুললেন।

4/9মিছিলে কোনও স্কুলগান গেয়ে বা নেচে প্রতিবাদ করল, কোনও স্কুল আবার স্রেফ স্লোগান তুলল। কোনও স্কুল পথে এঁকে প্রতিবাদ জানাল, কোনও স্কুল আবার পথে বসে প্রতিবাদী প্রশ্ন তুলল।

5/9না কেবল মিছিল থেকেই নয়। গড়িয়াহাট থেকে রাসবিহারী পর্যন্ত চলে এদিন মিছিল। এই পথে একাধিক বাড়ি থেকেও বাসিন্দারা ফোনের আলো জ্বালিয়ে সমর্থন জানান এই মিছিলকে। লেক মলের কাছে অগুনতি মানুষ ভিড় করে দাঁড়ান।

6/9মিছিল যখন দেশপ্রিয় পার্কের কাছে তখনই খবর এল জুনিয়র চিকিৎসকরা এবং নির্যাতিতার বাবা মা আসছেন এই মিছিলে যোগ দিতে। সকলের উৎসাহ যেন দ্বিগুন হয়ে গেল। মাঝপথে মিছিল থামিয়ে ঠিক বিকেল ৫টা নাগাদ জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া হল।

7/9মাঝপথে আশেপাশের দোকানের অনেককেই এগিয়ে এসে জল খাওয়াতে দেখা যায়। বাদ যায় না চা-ও।

8/9সন্ধ্যা সাতটার আশেপাশে যখন পুরো মিছিল রাসবিহারী এসে পৌঁছল তখন মানব বন্ধন গড়ে উঠল ধীরে ধীরে। নির্যাতিতার বাবা এসে প্রশ্ন তুললেন কেন যেখানে অন্যান্য দিন তাঁর মেয়ে ১০-১৫ মিনিটও বিশ্রাম নিতে পারেন না, কেউ না কেউ এসে ঠিক খোঁজে। সেদিন ৭-৮ ঘণ্টা পরেও কেন কেউ খুঁজতে এল না? কেন জানানো হল তাঁদের মেয়ে আত্মহত্যা করেছেন? অন্যদিকে নির্যাতিতার মা কথা বলতে গিয়ে কেঁদে ফেললেন অঝোরে।

9/9মশাল জ্বালিয়ে, জাতীয় পতাকা উড়িয়ে চলল দ্রুত বিচারের দাবি। দক্ষিণ কলকাতার প্রাণকেন্দ্র ততক্ষণে পুরো স্তব্ধ। কোনও যান চলাচল নেই। পথে যে বাস আটকে পড়েছিল তাদেরও আলো নিভিয়ে অপেক্ষা করতে দেখা গেল। পরিশেষে জাতীয় সঙ্গীত দিয়েই সেদিন এই মিছিল শেষ হয়।

পরবর্তী ফটো গ্যালারি

পুজোর আগে রবিবরারে শপিং নয়! ৫১টি স্কুলের প্রাক্তনীরা আরজি করের বিচারের দাবিতে গেলেন গড়িয়াহাট থেকে রাসবিহারী

Latest News

Trending Topics

Sections

বাংলার মুখ

ময়দান

ক্রিকেট

ভাগ্যলিপি