উপাচার্যকে পরে দেখব, বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে হুঁশিয়ারি তৃণমূল কংগ্রেসের বীরভূম জেলা সভাপতি। উল্লেখ্য, এদিন বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় ওয়েবসাইটে একটি বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়৷ তাতে বলা হয় ১৮ মে বিকেল ৪টেয় অনলাইনে একটি আলোচনা হবে৷ এই প্রসঙ্গেই এদিন ফের বিস্ফোরক মন্তব্য করেন।
বিশ্বভারতীর বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আলোচনার প্রসঙ্গ, 'কেন রাজ্যে বিধানসভায় বিজেপি ব্যর্থ?' কেন্দ্রীয় নীতি আয়োগের যুগ্ম উপদেষ্টা সঞ্জয় কুমার এই আলোচনায় যোগ দেবেন। আর এরপরই ওঠে বিতর্কের ঝড়। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রতিষ্ঠিত ঐতিহ্যবাহী বিশ্বভারতীতে নির্দিষ্ট কোনও রাজনৈতিক দলকে নিয়ে আলোচনা করা হবে, তা মেনে নিতে পারেননি অনেকে। এই আলোচনা সভার নিন্দায় সরব হয় শাসক দলের নেতারা।
তবে এই প্রসঙ্গে সংযত হয়ে মন্তব্য করেননি অনুব্রত। স্বভাবসিদ্ধ ভাবে তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল বলেন, 'ও একটা পাগল ভিসি৷ বিশ্বভারতীতে আগে কখনও এই রকম রাজনীতি দেখিনি৷ এত দুঃসাহস৷ এখন করোনা পরিস্থিতি। মানুষের পাশে থাকি। উপাচার্যকে পরে দেখব।' এদিকে মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ বলেন, 'আমরা আগেই বলেছিলাম উপাচার্য বিজেপির প্রতিনিধি। এই করোনা পরিস্থিতিতে উনি মানুষের পাশে না থেকে, বিজেপি কেন হারল সেই নিয়ে আলোচনার আয়োজন করেছেন।'
পরবর্তীতে বিতর্ক ধামাচাপা দিতে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে আলোচনা সভা বাতিল করার ঘোষণা করে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। প্রসঙ্গত, এর আগেও বিজেপি সাংসদ, নেতাদের বিশ্বভারতীর বিভিন্ন আলোচনা সভা, অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানিয়ে বিতর্কে জড়িয়েছেন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী।