আজ পয়লা বৈশাখ, ১৪২৮ বঙ্গাব্দের প্রথম দিন। চৈত্র মাস ধরে চলতে থাকে বর্ষবরণের প্রস্তুতি। চৈত্র সেলই জানান দেয় বর্ষশেষের কথা। চৈত্র সংক্রান্তির পরের দিনই পয়লা বৈশাখ। এই দিনেই সূর্য মীন রাশি থেকে বেরিয়ে মেষ রাশিতে প্রবেশ করে। নানান ভাবে পালিত হয় এই দিনটি।
১. চৈত্র সংক্রান্তির দিনে বহু পরিবারে অম্ল ও তেতো খাবার খাওয়া হয়। সম্পর্কের তিক্ততা বর্জনের প্রতীক হিসেবে এ ধরণের খাবার খাওয়ার প্রথা প্রচলিত রয়েছে।
২. পয়লা বৈশাখের দিন বর্ষবরণের আনন্দে মেতে ওঠেন সকলে। বড়দের প্রণাম করে শুরু হয় দিন।
৩. ছোট ও বড় ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে এদিন হালখাতা লেখা হয়। নতুন বছরের নতুন হিসেব-নিকেশের খাতারই প্রচলিত নাম হালখাতা। লক্ষ্মী ও গণেশের পুজো শেষে হালখাতায় স্বস্তিক এঁকে শুরু হয় নয়া বছরের বেচাকেনা।
৪. দোকানে দোকানে আমন্ত্রিত থাকেন ক্রেতারা। মিষ্টি দিয়ে আপ্যায়ন করা হয় তাঁদের।
৫. বাংলার মন্দিরে মন্দিরে স্বজনদের মঙ্গল কামনার জন্য উপচে পড়ে ভিড়।
৬. নতুন জামাকাপড় পরে ঘুরতে যান অনেকে। ধুতি-পঞ্জাবী এবং শাড়ি নববর্ষের ঐতিহ্যের সঙ্গ জড়িত।
৭. বাড়িতে এদিন অতিথি সমাগম দেখা দেয়। সেই সঙ্গে চলে ভুড়িভোজ। ইলিশ, পাঁঠা, চিংড়ি, পোলাওয়ের গন্ধে ম ম করে বাঙানির হেঁসেল।