সদ্য ছাত্রদের দাবি মেনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতা থেকে ৭ কলেজকে বাইরে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এর আগে, ঢাকায় ফের ছাত্র আন্দোলনের আগুন ধিকি ধিকি জ্বলে ওঠে এই ইস্যুকে কেন্দ্র করে। সংঘাত, সংঘর্ষের পর ছাত্রদের দেওয়া ৪ ঘণ্টার ডেডলাইনের মধ্যেই বড় ঘোষণা করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এদিকে, এই ঘটনা নিয়ে মুখ খুলে বিস্ফোরক তথ্য জানান বাংলাদেশের শিক্ষা বিষয়ক উপদেষ্টা ওয়াহিদুদ্দিন মেহমুদ।
মঙ্গলবার ঢাকায় নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন,চলতি শিক্ষা বর্ষে ঢাকার বড় সাতটি কলেজে শিক্ষার্থী ভর্তি না করার বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় যে ঘোষণা করেছে, তা তাঁর সঙ্গে আলোচনা করে নেওয়া হয়নি। এমনই রিপোর্ট পেশ করেছে, ‘প্রথম আলো’। ওয়াহিদউদ্দিন মেহমুদ বলেছেন,' ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় যে ঘোষণা করেছে, এটা আমার সঙ্গে আলোচনা করে তো আর ঘোষণা করেনি। আমার নিজের পরামর্শ ছিল, যখন এই ঘটনাগুলো ঘটছিল, তখন কয়েকবার ফোনে কথা হয়েছিল, আমি আরেকটি মিটিং থেকে বেরিয়ে গিয়ে শুধু বলেছিলাম, ওই কলেজগুলোর শিক্ষার্থীরা তাঁদের ভর্তির বিষয়ে, পরীক্ষার বিষয়ে যতগুলো অসুবিধা আছে, যতদূর সম্ভব, যেগুলো যেন নিরসন করা হয়। কিন্তু এই বছর থেকেই আর ভর্তি করা হবে না, এটির জন্য আমি প্রস্তুত ছিলাম না।' প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি বাংলাদেশের অন্দরে শিক্ষা পরিকাঠামোর মধ্যে সমন্বয়ের কোথাও বড় ফাঁক থেকে যাচ্ছে? এদিকে, বাংলাদেশে শিক্ষা উপদেষ্টার এহেন বিস্ফোরক বক্তব্য নিয়ে যখন আলোচনা তুঙ্গে, তখনই অন্যদিকে, সেদেশের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুস বাংলাদেশের ওই ৭ কলেজ নিয়ে একটি বৈঠক ডেকেছেন।
বাংলাদেশের মিডিয়া রিপোর্ট সূত্রের খবর, মঙ্গলবারের সন্ধ্যায় ঢাকায় মহম্মদ ইউনুস তাঁর কার্যালয়ে এই বৈঠক ডাকেন। জরুরি এই বৈঠকে শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক এস. এম. এ. ফয়েজ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান উপস্থিত ছিলেন বলে খবর। এর আগে, মঙ্গলবার বিকেলে আরও এক দফা বৈঠক হয়েছে। সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী এবং তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামের সঙ্গে বৈঠক করেছেন ৭ কলেজের পড়ুয়ারা প্রতিনিধিরা। বৈঠক শেষে নিউ মার্কেট থানা ঘেরাও বিক্ষোভ সংক্রান্ত কর্মসূচি ও সাত কলেজের সামনে দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসসহ অন্যান্য বাস চলতে দেওয়া হবে না সংক্রান্ত কর্মসূচি প্রত্যাহারের কথা জানান পড়ুয়ারা।