মহেশতলার এসবিআই-র ব্রাঞ্চে ডাকাতিতে উঠে এল এক দম্পতির নাম। আরিফ হোসেন ও তাঁর স্ত্রী রুবিনা এই কাণ্ডে জড়িত বলে অভিযোগ। এককালে এই মহেশতলার এসবিআই ব্যাঙ্কে নন ব্যাঙ্কিং স্টাফ হিসাবে কর্মরত ছিলেন আরিফ। একথা জানিয়েছে পুলিশ। কোনও কারণবশত ২ মাস আগে চাকরি চলে যায় আরিফের। এরপরই স্ত্রী ও ভাইকে নিয়ে মহেশতলা এসবিআই ব্যাঙ্ক লুটের ছক কষে আরিফ।
মহেশতলার এসবিআই ব্যাঙ্ক থেকে ডাকাতির ঘটনায় আরিফ হুসেন, তাঁর স্ত্রী রুবিনা হুসেন, ভাই সায়েফ হুসেনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশ বলছে, আরিফ হুসেন এই ব্রাঞ্চেরই নন ব্যাঙ্কিং স্টাফ। ব্যাঙ্ক থেকে খোয়া যাওয়া ৩ কোটি টাকার সোনার গয়না ও ৭৫ লক্ষ টাকা ক্যাশ উদ্ধার হয়েছে। এর আগে, রবিবার আরিফের উলুবেড়িয়ার বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে আরিফকে। এদিকে, গোটা ঘটনা পুনরায় নির্মাণের জন্য আরিফকে ওই ব্রাঞ্চে নিয়ে যায় পুলিশ। এই গোটা ‘মহেশতলার মানিহাইস্ট’ ঘিরে আরও কেউ জড়িত কি না, তা নিয়েও চলছে তদন্ত। গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
এই ব্যাঙ্ক লুটের ঘটনা মহেশতলার বাটামোড়ে ঘটেছে। সেখানের এসবিআই ব্যাঙ্কে ডাকাতির জেরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। ডাকাতির ঘটনা বাটামোড়ের এসবিআই ব্রাঞ্চে হয়। এই ডাকাতির বিষয়টি প্রথম লক্ষ্য করেছেন ওই এসবিআই ব্রাঞ্চের একটি নিরাপত্তারক্ষী। ওই শুক্রবারের পর দুই দিন ছুটি ছিল ব্যাঙ্ক। তারমধ্যেই আরিফ ও তাঁর স্ত্রী, ভাই এই টাকা লুটের অপারেশন চালান। এমনই অনুমান প্রাথমিক তদন্তে। পুলিশ তদন্তে নেমেই মনে করেছিল ঘটনায় ব্যাঙ্কের ভিতরের কেউ আছে। পুলিশ প্রথম থেকেই মনে করেছিল, এই ঘটনায় ব্যাঙ্কের কোনও পরিচিতের হাত রয়েছে। সেই তত্ত্বকে ধরেই পুলিশ এগিয়েছে তদন্তে। আর এই সন্দেহের নেপথ্যেই ছিল একটি কারণ!
( Mangal Vakri 2024: বক্রী হয়েই মঙ্গল ধন দৌলতে ভরিয়ে দেবেন একাধিক রাশিকে! কর্কট সহ কারা লাকি?)
কী সন্দেহ করেছিল পুলিশ?
পুলিশ লক্ষ্য করেছিল, ব্যাঙ্কে যে টাকা লুট হয়েছে, তা তালা ভেঙে হয়নি। এই গোটা ডাকাতি পর্ব চলেছিল তালা খুলে। ফলে ব্যাঙ্কের ভিতরের কেউ আছে এই ডাকাতিতে, বলে মনে করা হচ্ছে। পুলিশ মনে করছে, ওই ব্যাঙ্কের ওই ব্রাঞ্চে কর্মরত অবস্থাতেই তালার চাবি নকল করে নেন আরিফ। তাঁকে জেরা করছে পুলিশ।