দিনেদুপুরে স্বর্ন ব্যবসায়ী খুন পাঁচ আততায়ীর হাতে। উত্তর চব্বিশ পরগনার বরানগরে শনিবার ঘটেছে এই হাড়হিম করা ঘটনা। ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কোনও অভিযুক্ত ধরা পড়েনি পুলিশের নাগালে। বরানগরের শম্ভু দাস লেনের এক গয়নার দোকানে দুপুরের দিকে খুন হন ওই ব্যবসায়ী। ঘটনা ঘটাকালীন দোকানে একাই ছিলেন তিনি। মাথায় গুরুতর আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে। উল্টো দিকের বাড়ির সিসি ক্যামেরা থেকে খুনীকে শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে।
সিসি ক্যামেরা বন্ধ করে খুন
পুজো সবেমাত্র শেষ হওয়ায় আশেপাশের দোকানগুলি বন্ধ ছিল শনিবার। খোলা ছিল সোনার দোকানটি। নিহতের নাম শঙ্কর জানা। শঙ্করবাবুর ছেলে থাকেন বাইরে। তিনিই দোকানের মনিটরিং ক্যামেরা বন্ধ জানতে পারেন তাঁর ফোন থেকে। সন্দেহ হওয়ায় দিল্লি থেকে ফোন করেন কলকাতার কয়েকজন পরিচিতকে। তাঁরা গিয়ে দোকানে খোঁজ করতেই হাত-পা বাঁধা মৃতদেহ উদ্ধার হয় ওই স্বর্ণ ব্যবসায়ীর।
কখন লুট ও খুন?
সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, দোকানের সামনে দুপুর নাগাদ পাঁচজন সন্দেহজনক ব্যক্তি ঘোরাফেরা করছিল। তাদের মধ্যে তিনজন দোকানে ঢুকে যায়। দুজন বাইরে দাঁড়িয়ে থাকার ভান করে। ওই তিনজন গয়না কেনার নাম করে ঢুকে কিছুক্ষণ পর শঙ্করবাবুর চোখে লঙ্কাগুঁড়ো ছিটিয়ে দেয়। এর পরেই সিসি ক্যামেরা বন্ধ করে খুন করা হয় তাঁকে। হাত-পাও বেঁধে দেওয়া হয়। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের দাবি, দুপুর ৩টে থেকে সাড়ে ৩টের মধ্যে দোকান লুট এবং খুনের ঘটনা ঘটেছে।
(আরও পড়ুন - লক্ষ্মী পূর্ণিমায় এড়়িয়ে চলুন ৫ ভুল! দুর্ভাগ্যের শেষ থাকবে না, পকেটেও পড়বে টান
আরও পড়ুন - বৃহস্পতিবারের লক্ষ্মীপুজোর থেকে কেন আলাদা কোজাগরী লক্ষ্মীপুজো? কী মাহাত্ম্য এর?)
আতঙ্কে অন্যান্য ব্যবসায়ীরা
থানা থেকে মাত্র ১ কিমির মধ্যে খুন হওয়ায় আতঙ্কে অন্যান্য ব্যবসায়ীরাও। স্থানীয়দের একাংশের অভিযোগ, ওই অঞ্চলে পুলিশের টহল নেই বললেই চলে। মাঝে মাঝে পুলিশ এলেও সেভাবে কোনও টহল নেই। স্বাভাবিকভাবে এই ঘটনার পরে অনেকেই আতঙ্কে ভুগতে শুরু করেছেন। পুলিশ সূত্রে খবর, গোটা ঘটনা ৩০-৪০ মিনিটের মধ্যে ঘটেছে। আগে থেকে স্থানটি দেখে গিয়েছিল বলেই ধারণা প্রাথমিক তদন্তে। তবে দুস্কৃতীরা কোথা থেকে এসেছে, কী তাদের পরিচয়, তা এখনও জানা যায়নি।